নিজের জীবন দিয়ে বন্ধুদের বাঁচালেন কলোরাডো’র শিক্ষার্থী

কেনড্রিক ক্যাস্টিলো
নিহত কেনড্রিক ক্যাস্টিলো

পিবিএ ডেস্ক: গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো রাজ্যের স্টেম স্কুল হাইল্যান্ডস র‌্যাঞ্চে দুই বন্দুকধারীর হামলায় একজন শিক্ষার্থী নিহত এবং আরো আটজন গুরুতর আহত হয়। যে শিক্ষার্থী নিহত হয়, সে সহপাঠীদের বাঁচাতে গিয়েই বন্দুকধারির গুলিতে প্রাণ হারায়। তানাহলে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারতো।উল্লেখ্য, বন্দুকধারীও তাদের একজন সহপাঠী।

হামলাকারী সহপাঠী যখন আগ্নেয়াস্ত্র বের করে বাকিদের দিকে তাক করছে, কেনড্রিক ক্যাস্টিলো নামের আরেক সহপাঠী বন্দুকধারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে , যেন বাকিরা পালিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সময় পায়। সেই ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে গুলি লেগে মারা যান কেনড্রিক।

গতকাল ওই স্কুলে দুই বন্দুকধারীর হামলার ঘটনার পর কেনড্রিকের কয়েকজন সহপাঠী এ কথা জানান।

১৮ বছর বয়সী কেনড্রিকের বাবা জন ক্যাস্টিলো গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি জানি আসলেই এমনটা ঘটেছে। কারণ ওর এই সাহসিকতার কারণেই বাকিরা আজ বেঁচে আছে এবং আমি ঈশ্বরকে সেজন্য ধন্যবাদ জানাই। আমি ওকে ভালোবাসি। সে একজন বীর এবং চিরকাল তাই থাকবে। ও মানুষকে ভীষণ ভালোবাসত।’

সহপাঠীদের সঙ্গে কেনড্রিক মঙ্গলবার ব্রিটিশ সাহিত্যের ক্লাসে ‘দ্য প্রিন্সেস ব্রাইড’ চলচ্চিত্রটি দেখার সময় হঠাৎই সহপাঠীদের একজন অস্ত্র বের করে চিৎকার করে সবাইকে নড়াচড়া করতে নিষেধ করে। ঠিক ওই সময় বন্দুকধারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন কেনড্রিক। তার সঙ্গে আরও তিনজন শিক্ষার্থী বন্দুকধারীকে ধরে আটকে রাখার চেষ্টা করে যেন বাকিরা ক্লাস থেকে ততক্ষণে বেরিয়ে যেতে পারে।

কেনড্রিক ক্যাস্টিলো ছিলেন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। কিন্তু সেই ছোটবেলা থেকেই এই সহপাঠীরা ছিল তার আপন ভাইবোনের মতোই। ক্রিসমাসসহ যে কোনো আয়োজন ছাড়াও সবসময়ই তাদের কেনড্রিকের বাড়িতে তাদের আসা-যাওয়া ছিল।

‘আমার ছেলে ছিল নিঃস্বার্থ। আর এই মানসিকতার কারণেই সে আজ প্রাণ হারালো। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে সে বাকিদের জীবন বাঁচিয়ে দিয়ে গেছে,’ বলেন তার বাবা।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...