নিজের হত্যার পরিকল্পনা জেনে সৎ মা-বাবা-বোনকে খুন

পারিবারিক বিরোধের জেরে সৎ ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মা স্বপ্না বেগম (২৮)। পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে পেরে স্বপ্নাসহ পরিকল্পনায় জড়িত বাবাকেও হত্যা করে আত্মহত্যার গল্প সাজান ছেলে হিমেল। সঙ্গে হত্যা করেন ৪ বছরের ছোট বোন জান্নাতুলকে।

সম্প্রতি আশুলিয়ার এমন একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা জেলা পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পিবিআই ঢাকা জেলা জনাব মোঃ কুদরত-ই-খুদা এ তথ্য জানান।

তিনি জানান,পারিবারিক সম্পদের লোভে প্রথম পক্ষের ছেলে হিমেলকে হত্যার করতে তরিকুলকে ভাড়াটিয়া হিসেবে বাসায় তোলে বাবা মিজানুর রহমান বাচ্চু ও তার চতুর্থ স্ত্রী স্বপ্না বেগম।

এই সৎ মা ও বাবা ছেলেকে খুনের জন্য ভাড়াটে খুনী বাচ্চুকে ১০ হাজার টাকা দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে সৎ মায়ের স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকার বিনিময়ে তরিকুলের সাথে পাল্টা বাবা ও সৎ মাকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছেলে হিমেল। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ১২ সেপ্টেম্বর সাভার আশুলিয়া ভাদাইলের বাড়িতে বাবা মিজানুর রহমান বাচ্চুকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে তারা।

এরপর সৎ মা স্বপ্না বেগম ও চার বছরের বোন জান্নাতুলকে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে আত্মহত্যা বলে চালায় তারা। এ ঘটনায়, নিহত সৎ মা স্বপ্নার ছোট বোন লাবন্য সাভার থানায় মামলা করলে ১০ দিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করে পিবিআই।

ঢাকার আশুলিয়া, দোহার এলাকা থেকে তরিকুল ও হিমেলকে গ্রেফতার করে তারা। হিমেল মিজানুর রহমান বাচ্চুর প্রথম স্ত্রীর একমাত্র সন্তান। অধিক সন্তানের আশায় চারটি বিয়ে করেন বাচ্চু।

এই ট্রিপল হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী তারেক ও হিমেলকে যথাক্রমে ৪ ও ২৪ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কুদরত ই খুদা।

আরও পড়ুন...