পিবিএ,বি-বাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নির্বাচনী সহিংসতায় প্রতিপক্ষের হামলায় ‘নৌকা’ প্রতীকের এক কর্মী খুন হয়েছেন। নিহতের নাম রুকন উদ্দিন (৩০)। তিনি সরাইল পাকশিমুল ইউপির বরইচারা গ্রামের সাদত আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে বরইচারা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আরো পাঁচজন আহত হন।
বরইচারা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোমেন মিয়া জানান, নিহত রুকন উদ্দিন আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি নদীতে স্টিল নৌকার মাঝি হিসেবে কাজ করতেন। উপজেলা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করতে কিছুদিন আগে বাড়িতে আসেন। ৩১মার্চ নির্বাচনের দিন বরইচারা ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীকের কর্মী রুকন উদ্দিনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ‘ঘোড়া’ প্রতীকের সমর্থক একই গ্রামের আবু ছায়েদ ও শিবলীর প্রথমে বাকবিতন্ডা পরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে
বিষয়টি নিয়ে নিস্পত্তি করতে বুধবার রাতে সামাজিকভাবে সালিশে বসেন গ্রাম্য মাতব্বররা। একপর্যায়ে সালিশ সভায় দুইপক্ষের লোকজন মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ভৈরব যাওয়ার উদ্দেশ্যে নৌকা প্রতীকের কর্মী ইঞ্জিনিয়ার ফারুক, রুকন উদ্দিন ও আলমগীর গ্রামের নদীপাড়ে নৌঘাটে আসেন। খবর পেয়ে প্রতিপক্ষ ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকদের নিয়ে আবু ছায়েদ নৌকা প্রতীকের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে রুকন উদ্দিন সহ অন্যরা আহত হন। বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে দুইপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাচালে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় রুকন উদ্দিনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সরাইল থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল হক জানান, তাদের মধ্যে জাল ভোটের অভিযোগে নির্বাচনের দিন থেকেই বিরোধ ছিল। হামলায় রুকন উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এলাকা শান্ত আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উল্লেখ্য, সরাইল উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের চারজন এবং বিএনপির একজন। বাকি দুইজন অন্যান্য দলের। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিক উদ্দিন ঠাকুর ঘোড়া প্রতীকে ৩১,৪৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর নৌকা ১৩,২৭৩ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়।
পিবিএ/এআই/হক