পিবিএ,ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে বলে প্রত্যাশা করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মুলার।
মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
রবার্ট মুলারকে বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য এসেছিলাম। আমরা বলেছি, সকল দল অবাধে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার এবং রাজনীতি করার যেন সুযোগ পায়। তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচার চালাতে এবং র্যালি করার সুযোগ পায়। বিতর্কের মধ্যে দিয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র আরো বিকশিত হয়। গণমাধ্যম, বিরোধী দলসমূহ যেন তাদের মত ব্যক্ত করতে পারে।
নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের সকলের শান্তিপূর্ণ আচরণের প্রত্যাশায় করে তিনি বলেন, সবাই যেন সহিংসতা থেকে দুরে থাকে। কেননা, সহিংসতা গণতন্ত্রের পথে বাধা হিসেবে থাকে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সহিংসতা শুধু তাদের উদ্দেশ্য পূর্ণ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দল অথবা প্রার্থীকে সমর্থন করে না। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মূল্যবোধকে সমর্থন করি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪০ লাখ বাংলাদেশি (ভোটার) অংশ নেবেন। আমরা সবাই এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছি। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি-অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার বিষয়টিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত করে।
নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট ( এনডিআই) নির্বাচন পর্যবেক্ষণ টিমকে সহায়তা করবে । পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট প্রাক মূলায়ন দল অক্টোবরে পাঠিয়েছিল এনডিআই। পরবর্তীতে ডিসেম্বরেও এরকম আরও একটি দল পাঠিয়েছে। এনডিআইয়ের অংশীদার ‘দি এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইকলকশন’। তারা দু’জন আন্তর্জাতিক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নিয়োজিত করেছে এবং স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী ইলেকশন পর্যবেক্ষক পাঠাবে।
মার্কিন দূতাবাস পৃথক পর্যবেক্ষক দল নিয়োগ করবে সারাদেশে। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৫ হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষক অর্থায়ন করবে। যারা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিওজি) হয়ে কাজ করবে।
পিবিএ/ এসআই/জেডআই