পিবিএ ঢাকা: নির্বাচন শেষ করে ফাইনাল মন্তব্য করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচনের আগমুহূর্তে কোনো শঙ্কা রয়েছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তাবিথ বলেন, আশঙ্কার জায়গা থেকে এখনো পুরোপুরিভাবে কাটিয়ে উঠতে পারিনি। আমাদের আশঙ্কার বড় একটা জায়গাটা হলো নির্বাচনের দিন। আমাদের সব পোলিং এজেন্ট নির্বাচনের কেন্দ্রে যেতে পারবে কি না, থাকতে পারবে কি না, সে জায়টায় শঙ্কা আছে। এ ছাড়া ইভিএম মেশিন কীভাবে কাজ করে বা কাজ না করে সেটাও আমরা নির্বাচনের দিন বুঝতে পারব।
‘একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন কোনো অপ্রিয় ঘটনা মোকাবেলা জন্য প্রস্তুত কি না। কারণ, জনগণ তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আগামী দুই দিনের অপেক্ষায় আছি, নির্বাচন শেষ করে ফাইনাল মন্তব্য করব’, -যোগ করেন তিনি।
বিএনপির এ মেয়র প্রার্থী বলেন, রাজনীতি এবং দেশ একটি সংকটে রয়েছে। এ সংকট মূলত তৈরি হয়েছে রাজনীতিতে দলীয়করণের কারণে। আমরা এতটাই ডিভাইডেট হয়েছি যে, জনগণের জায়গায় আমরা ঐক্য হতে পারছি না। আমাদের ঐক্যের বিষয়টি মনের মধ্যে থাকলেও প্রকাশ করতে পারছি না। আমরা চাই, জণগণকে প্রাধান্য দেয়ার জন্য, সেই জায়গাটায় আমরা যেন সবাই এক থাকি।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি আপনাদের আহ্বান জানাব, নির্বাচনের দিন সব ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবেন। এ ক্ষেত্রে যারা ভোটার না, উনারা যেন ভোটারদের সহযোগিতা করেন। উৎসাহ দেন, দায়িত্বশীল হয়ে ভোট দেয়ার জন্য। আমি বিশ্বাস করি, সবাই ভোট দিলে, এই ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সুদিন অবশ্যই আসবে।
মতবিনিময় সভায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, একটা শঙ্কা ছিল, নির্বাচন হবে কি হবে না। সেই শঙ্কা কেটে গেছে। শঙ্কা ছিল, সবাই অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, সেটিও কেটে গেছে। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ এই নীতিতে অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। প্রত্যাক ভোটার তার পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমাদের শুধু প্রত্যাশা থাকবে, প্রার্থীরা যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন, তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেই প্রতিশ্রুতির প্রতি তারা যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবেন এবং তা বাস্তবায়নে আন্তরিক থাকবেন। আমরা গণমাধ্যমকর্মীরা অতীতে গণতন্ত্রের জন্য সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ভূমিকা রেখেছি, সে ভূমিকা রাখব। দেশ, মাটি এবং মানুষের পক্ষে থাকবে আমাদের ভূমিকা।
ভোরের কাগজ প্রত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, গত কয়েক দিনে আমাদের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে এবং আমাদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানাব, নির্বাচনের সময় সাংবাদিকেরা যেন নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করতে পারে। অন্তত তারা যেন সহিংসতার শিকার না হয়। আমাদের প্রত্যাশা, নির্বাচনটি যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হয়।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদ মো. শহিদুল ইসলাম, ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ত্র্যানীসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
পিবিএ/এমআর