নিহত ২৫, বনানীতে আবার শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ

বনানীতে আবার শুরু হয়েছে উ্দ্ধার কাজ

পিবিএ, ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আজ সকাল থেকে আবার শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ।গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত নিহতের দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে। আহত হয়েছেন ৭০ জন।অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থাপিত ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে হতাহতের এই সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়।

তবে এই সংখ্যা আরো অনেক বাড়তে পারে।উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ভবনের অষ্টম ও নবম তলায় আরও লাশ থাকতে পারে। ভেতরে প্রচণ্ড উত্তাপ। দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা। দমকল বাহিনীর দুটি দল সারা রাত ঘটনাস্থলে ছিল। সকালে আরো নতুন সংখ্যা জানা যাবে। তবে পুরোপুরি হতাহতের সংখ্যা জানতে বেশ সময় লেগে যেতে পারে। বেশ কিছু ব্যাগ ভেতরে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্যাগে একাধিক লাশ নিতে হতে পারে। লাশ শনাক্ত করতে ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন হবে।

দমকল বাহিনীর সিনিয়র স্টেশন অফিসার খুরশীদ আনোয়ার জানান, “আগুন রাতে নিয়ন্ত্রণে আনার পর উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়, তবে আবার যেন আগুন ছড়িয়ে পরতে না পারে তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সারারাতই ঘটনাস্থলে ছিল।”

সকাল থেকে আবারো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।তবে উদ্ধার অভিযান শেষ হতে কত সময় লাগতে পারে সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেননি খুরশীদ আনোয়ার।

এদিকে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী নিহতদের মধ্য থেকে সাত জনের নাম জানা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তাঁরা হলেন, পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), আমেনা ইয়াসমিন (৪০), মামুন (৩৬), শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস চন্দ্র, আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)।

পুলিশ সূত্রে থেকে জানানো গেছে, আমেনা মারা গেছেন অ্যাপোলো হাসপাতালে। পারভেজ সাজ্জাদ বনানী ক্লিনিকে, নিরস চন্দ্র কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এবং মামুন, মাকসুদুর ও মনির ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন আবদুল্লাহ আল ফারুক।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন এত সময় লাগলো – সে প্রশ্নের উত্তরে আনোয়ার বলেন, “একটি বহুতল ভবনের জন্য যেরকম অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা থাকার কথা, সেরকম আমরা দেখতে পাইনি।”

এছাড়া বহুতল ভবনে আগুন নেভানোর জন্য যেসব গাড়ি প্রয়োজন সেগুলো দূর থেকে নিয়ে আসার কারণে এবং রাস্তায় যানজট থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দেরী হয় বলে জানান তিনি।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...