পিবিএ, ঢামেক : ফেনীর নিহত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত একটি প্রতিবাদী মানুষ। অন্যায়ের কাছে, কারো যৌন বাসনার আছে সে কোন রকম নতি স্বীকার করেনি। আমি তাকে একটি প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, প্রতিবাদী মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করতে চাই। নুসরাত নিজের জীবন দিয়ে প্রতিবাদ করে গেল। এটা আমাদের জন্য শিক্ষানিয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক
সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এসে ময়না তদন্তর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আজকের দিনটা নুসরাত ডে হিসেবে পালন করা উচিত বলেন মন্তব্য করেন তিনি। নুসরাত অন্যায় কাছে নতি স্বীকার না করে প্রতিবাদ করেছে। এটা সবার জন্য শিক্ষনিয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে সেই শাস্তি মানুষের কাছে দৃশ্যমান করা করতে পারি তাহলে আজকে মানুষের মনে যে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠবে।
তিন বলেন, নারীর প্রতি, শিশুর প্রতি যৌন নির্যাতন যেভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এটা সমাজের জন্য ব্যাড মেসেজ দিচ্ছে। মানুষ একটা শঙ্কার মধ্যে বসবাস করছে। আমরা জানিনা কে কখন এই জাতীয় ঘটনার শিকার হয়ে যাবো। এটার একটা পরিসমাপ্তি হওয়া উচিত। দুঃখজনক হচ্ছে আমাদের দেশে অনেক আইন আছে, কিন্তু তার সত্বেও দিন দিন এসব বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইনের প্রয়োগ সঠিকভাবে হচ্ছে না। মানুষ সঠিকভাবে তার বিচার পাচ্ছে না। যার ফলশ্রুতিতে অপরাধী দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।
একটা জিনিস খুব দুঃখজনক নুসরাত এর মৃত্যুর জন্য যাকে অভিযোগ করা হচ্ছে তাকে যখন রিমান্ড থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তার মুখে কোনো অনুশোচনা বা ভীতি দেখতে পেলাম না। তারমানে অপরাধীর মনের মধ্যে এখনো দাগ কাটাতে পারে নাই। এটাই আমাদের জন্য দুঃখজনক। অপরাধীরা যদি ভীতো হত তাহলে অপরাধ করার আগে চিন্তা করত।
তিনি বলেন, মাদ্রাসার অনেক ছাত্রী আছে যারা সাথে অধ্যক্ষর হয়ে, ভয় থেকে বা ভালো রেজাল্টের লোভ থেকে অধ্যক্ষেল প্রতি সায় দিয়ে গেছে। কিন্তু নুসরাত সেটা দেয়নি। নুসরাতের বই থেকে যে চিরকুট উদ্ধার হয়েছে সেটা দেখে বোঝা যায় সে একটি প্রতিবাদী মানুষ।
পিবিএ/এইচ/জেডআই