শহীদ নূর হোসেন দিবসে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে গণতন্ত্র রক্ষা কর্মসূচিতে জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে তাদের কর্মসূচি প্রতিরোধে রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকেই জিরো পয়েন্ট ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় সকাল থেকেই অবস্থান নিয়েছে বিএনপি, গণ অধিকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।
এসব স্থানে জড়ো হয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন তারা। এর আগে আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল রোববার ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ নভেম্বর জিরো পয়েন্টে আসার ডাক’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। কর্মসূচি প্রতিরোধে একই জায়গায় পাল্টা গণজমায়েত ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল রাতেই রাজধানীর জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেন শতাধিক ছাত্র-জনতা।
সমাবেশ স্থলে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের সামনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বাড়তে থাকে তাদের সংখ্যা। দুপুর ১২ টার দিকে সেখানে প্রায় দেড় হাজার বিএনপির নেতা-কর্মীর উপস্থিতি ছিল। অনেকের হাতেই লাঠি সোঁঠা দেখা যায়। এ সময় সেখান সন্দেহভাজন কয়েকজনকে মারধরও করা হয়। ফোন চেক করে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এখন পর্যন্ত অন্তত থেকে ১০-১৫ জনকে মারধরের খবর পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ মারধরের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে যায়।
এদিকে জিরো পয়েন্ট মোড় দখলে নিয়েছে গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ সেখানে সংগঠনটির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত রয়েছেন।
আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে অর্ধশতাধিক পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তবে জিরো পয়েন্টের আশপাশে নিরাপত্তা আরও বেশি জোরদার করা হয়েছে। মোড়ে মোড়ে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি। সচিবালয়ের সামনে বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় দুই শতাধিক সদস্য উপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে সংঘর্ষের আশঙ্কায় গুলিস্তান, জিরো পয়েন্টের আশপাশে এলাকায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কম। এসব এলাকার দোকানপাটও আজ খোলেনি। ব্যক্তিগত যানবাহনের চলাচলও বেশ কম দেখা গিয়েছে।