পিবিএ,রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) লিজ নেওয়া দেড় লক্ষাধিক টাকার লিচু সাবাড় করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের পেছনে গোদাগাড়ী বাগানে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মনির দূর্ব্যবহার করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের জেরে ছাত্রলীগ নেতা মনিরসহ বিভিন্ন হলের বিশ-ত্রিশজন নেতাকর্মী বাগানের বিভিন্ন গাছ থেকে লিচু নামাচ্ছিলেন। এ সময় ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়ে মনিরের নাম জানতে চাইলে মনির তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
বাগানের মালিক আব্দুল্লাহ ইবনে মনোয়ার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমরা এক লক্ষ বায়ান্ন হাজার টাকায় লিচু বাগানটি ইজারা নিয়েছি। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের আট জন নেতাকর্মী বাগানে এসে আমাদের দুই প্রহরীকে বেঁধে রেখে গাছ থেকে লিচু নামায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাড়াহুড়ো করে পালানোর সময় তাদের দুজন গাছ থেকে পড়ে যায়। তখন আমরা তাদের দুজনকে ধরে মেরেছিলাম।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মনিরের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনার পর বাগান মালিক পলাতক রয়েছে। এখন ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের মতো করে বাগানের লিচু পেড়ে খাচ্ছে।’ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা লিচু খাচ্ছে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সেটা বলতে পারবো না।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকয়া হলের পিছনে রাতে লিচু পাড়তে যায় ছাত্রলীগ নেতা কানন ও মেহেদীসহ বেশ কয়েকজন। এসময় তাদেরকে বাগানটি পাহারার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাদেরকে লিচু পাড়তে বাধা দেন। তখন তাদের মধ্যে বাকবিন্ডা শুরু হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে স্থানীয় ওই যুবকেরা। এতে ছাত্রলীগ নেতা কাননের দুই হাত ভেঙ্গে যায় ও মেহেদীর পায়ে গুরুতর জখম হয়।
এ ঘটনায় নগরীর মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেন আইন অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করে মতিহার থানা পুলিশ।
পিবিএ/এএইচ/আরআই