পিবিএ,ঢাকা: ১২ জুলাই ২০২০ইং রবিবার, সকাল ১০.৩০ মিনিটে নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে মাইজদীস্থ নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সম্মুখে সীমান্ত আগ্রাসন, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, পানি আগ্রাসন রোধে জাতীয় ঐক্যের দাবীতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
হয়। উক্ত মানববন্ধনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয়
আহবায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, সম্প্রতি উদ্বেগজনকভাবে বিএসএফ এর হাতে
বাংলাদেশের নাগরিক হত্যা বেড়ে গেছে। প্রতিবন্ধি, ছাত্র, যুবক, কৃষক,
ব্যবসায়ীসহ সব ধরণের নিরীহ, নিরস্ত্র মানুষকে বিনা উস্কানিতে গুলি করে
হত্যা করছে বিএসএফ। বার বার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন করে এদেশের অভ্যান্তরে
ঢুকে পড়ছে তারা। ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে এদেশের স্বাধীনতা
সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখিন। তিনি বলেন, ইসরাইলি বর্বর বাহিনী যেভাবে নিরীহি, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে তেমনি বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশীদেরকে হত্যা
করছে। চীনের সাথে ভারতের যুদ্ধাবস্থায় বিরাজ করছে। ভারতীয় সৈন্যদের পিটিয়ে হত্যা করছে চীনা সৈন্যরা, কিন্তু কোন গুলি ফুটছে না। অথচ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় স্বামী-স্ত্রীর মধুর সম্পর্ক বিরাজিত ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কিন্তু বিনা যুদ্ধে বিনা উস্কানিতে ভারতীয়রা
সীমান্তে গুলি করে মানুষ মারছে। ভারতের প্রতি দূর্বলতা এবং আনুগত্যের ফলে
সরকার নির্বাক। এযেন জমিদারের কৃতদাসের প্রতি যৌন নিপিড়নের ফলে মুখ বুঝে
সহ্য করে থাকা। নাগরিক পরিষদের আহবায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন আরও বলেন,
ফারাক্কা-গজলডোবা-টিপাইমুখ বাঁধ আর ভারতের অভ্যন্তরে আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাংলাদেশকে মরুভুমিতে পরিণত করার চক্রান্ত। এই চক্রান্ত রুখতে
জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং সরকারকে জাতিসংঙ্ঘ সহ
আন্তর্জাতিক ফোরামে সোচ্চার হতে হবে। নোয়াখালী জেলা নাগরিক পরিষদের
সমন্বয়ক সামছু উদ্দিন বাহার এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন
কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব হিফজুর রাহমান, মাহিন খান মিজান, ছাত্র নেতা ওয়াহেদ
নাবিন রাসপি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বক্তাগণ বলেন, ফেলানী হত্যার বিচার না হলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে না।
পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ব্যর্থ হলে দেশ মরুভুমিতে পরিণত হবে।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রোধ করতে না পারলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব
অর্থহীন হয়ে যাবে, বাংলাদেশ সিকিমের মত স্বাধীনতা হারাবে।
পিবিএ/আহাদুল ইসলাম রবিন/এসডি