চাঁদপুরে জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের ডাকা কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম ভূইয়া।
তিনি বলেন, সাত খুনের ঘটনায় আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। এখন থেকে নদীতে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এর কারণ পরে জানানো হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয় শ্রমিকদের ধর্মঘট। আজ শনিবারও সারা দেশে বন্ধ ছিল সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযান চলাচল। এতে অচলাবস্থা দেখা দেয় বন্দরগুলোতে। বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে ১০ লাখের টনেরও বেশি পণ্য। এর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়াও জ্বালানি পণ্যও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে এমভি আল বাখেরা জাহাজ থেকে পাঁচজনের মরদেহ এবং তিনজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে দুজন মারা যান।
নিহতরা হলেন—নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার এগারনলি এলাকার আবেদ মোল্লার ছেলে সালাউদ্দিন (৪০), একই উপজেলার পাংখারচর উত্তর এলাকার মাহবুবুর রহমান মুন্সীর ছেলে আমিনুর মুন্সী (৪১), ফরিদপুরের কোতোয়ালি উপজেলার জুয়াইর এলাকার মৃত আনিছুর রহমানের ছেলে মো. গোলাম কিবরিয়া (৬৫), একই এলাকার মৃত আতাউর রহমানের ছেলে শেখ সবুজ (২৭), মাগুড়ার মহম্মদপুর উপজেলার চর বসন্তপুর এলাকার আনিছ মিয়ার ছেলে মো. মাজেদুর (১৮), একই উপজেলার পলাশবাড়িয়ার দাউদ হোসেনের ছেলে মো. সজীবুল ইসলাম (২৯) এবং মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দেলোয়ার হোসেন মুন্সীর ছেলে রানা কাজী (৩২)। তারা সবাই জাহাজের স্টাফ।
এ ঘটনায় চাঁদপুরে হাইমচর থানায় হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন জাহাজটির মালিক মাহবুব মোর্শেদ। পরে র্যাব বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে গ্রেপ্তার করে। তারপর নৌ পুলিশের পরিদর্শক মো. কালাম খা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ফারহান সাদিকের আদালতে হাজির করেন। আদালত তাকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।