‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় পুলিশ ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’

জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী আইনানুগ সেবা দিতে পুলিশের সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পুলিশ নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করলে জনগণের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে হাজারীবাগ থানার স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নতুন এক ইতিহাস রচিত হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, তারা একটি বিরাট স্বপ্ন নিয়ে আন্দোলনে গিয়েছিলেন। আজ তারা নেই। তাদের স্বপ্নগুলো আমাদেরকে বাস্তবায়ন করতে হবে। বৈষম্য থেকে উত্তরণের জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করে গেছে আমাদের তরুণ সমাজ।

পুলিশবান্ধব জনগণ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা নিজেরা যেমন আইন মেনে চলবেন, একইভাবে অন্যদেরও আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করবেন। সম্মিলিতভাবে অপরাধ প্রতিরোধের এটাই উপযুক্ত সময়। চাঁদাবাজদের কোনো দল হতে পারে না। সামাজিকভাবে এই সমস্যা প্রতিহত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আজকের আলোচনায় মাদক, কিশোর গ্যাংসহ নানা সমস্যার কথা উঠে এসেছে। আপনারা আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। প্রত্যেক থানায় সিটিজেন ফোরাম বা বিভিন্ন সভার মাধ্যমে আপনাদের যেসব মতামত পাচ্ছি তার প্রতিফলন আমাদের কার্যক্রমে আনতে আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। সামাজিকভাবে অপরাধগুলো প্রতিরোধে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে জুমার খুতবায় কিংবা স্কুল-কলেজে বিশেষ সেমিনারের মাধ্যমে সমসাময়িক সামাজিক সমস্যাগুলো এবং এসবের প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করলে সমাজে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হবে। প্রত্যেক নাগরিক যদি নিজের অবস্থানে থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন, তাহলে একটা সুন্দর ও সুশীল সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও হাজারীবাগ থানা এলাকার সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

হাজারীবাগ থানার বিশিষ্ট নাগরিক খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, পুলিশকে শক্তিশালী করার জন্য আমরা সহযোগিতা করতে চাই। এক্ষেত্রে পুলিশের সাথে জনগণের দূরত্ব দূর করতে হবে। এছাড়া অপরাধ দমনে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সক্রিয় ভূমিকা দেখতে চাই।

সভায় উপস্থিত আব্দুর রহমান বলেন, আমরা এই নতুন বাংলাদেশে বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ দেখতে চাই। পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত।

রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রমনা বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন...