নড়াইলের স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

পিবিএ, নড়াইল: নড়াইলের লোহাগড়ায় সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে দুই সন্তানের জননী নাজমিন নাহার লুবনা নামে এক নারী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার(২৪ মে) বিকালে লক্ষীপাশাস্থ সাংবাদিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই নারী।


লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৫ সালে কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা গ্রামের লায়েব আলী মুন্সীর মেয়ে নাজনিন নাহার লুবনার সাথে নড়াগাতী থানার কাঠাদুরা গ্রামের আলতাফ গাজীর ছেলে গাজী সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে তারা লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা গ্রামে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। তাদের সংসারে একটি পুত্র ও একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই নানা সময়ে যৌতুকের জন্য সালাউদ্দিন স্ত্রী লুবনাকে মারপিট করতো। লুবনা স্বামী সালাউদ্দিনকে বাধ্য হয়ে দুই লাখ টাকা প্রদান করে। সালাউদ্দিন আরো টাকার দাবিতে নির্যাতন অব্যাহত রাখে।

নির্যাতন সইতে না পেরে লুবনা গত ১১ মার্চ নড়াইল নোটারী পাবলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে সালাউদ্দিনকে তালাক প্রদান করেন। তালাক প্রদানের পর থেকেই লুবনা লক্ষীপাশাস্থ তার বোন লিজার বাসায় বসবাস করছেন। তালাক প্রদান করার পরে সালাউদ্দিন আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৬ এপ্রিল লুবনাকে তার বোনের বাসায় পেয়ে মারপিট করে। এঘটনায় লুবনা বাদি হয়ে নড়াইল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সালাউদ্দিনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এরপরেও ক্ষ্যান্ত হননি সালাউদ্দিন গাজী।

সালাউদ্দিনকে তালাক প্রদানের পরে লুবনা লক্ষীপাশা গ্রামের মৃত সৈয়দ শাহাদত আলীর ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাকে বিয়ে করেন। লুবনা অভিযোগ করেন, সালাউদ্দিন তাকে ও তার বর্তমান স্বামী আব্দুল্লাকে নিয়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে।

গত বৃহস্পতিবার(২৩ মে) বিকালে সালাউদ্দিন সন্তানদের দেখার অজুহাতে লুবনার বোনের বাসায় উপস্তিত হন। সেখানে লুবনাকে মারপিট করে জোর করে প্রায় ৮ ভোরী স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে লুবনাকে মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে সালাউদ্দিন। লক্ষীপাশা চৌরাস্তা মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে লুবনার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে সালাউদিন ও তার সহযোগিরা লুবনাকে ফেলে রেখে মাইক্রোবাসে পালিয়ে যায়।

অভিযুক্ত সালাউদ্দিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। লুবনা এখন নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন। লুবনা অপহরণ চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।

পিবিএ/এসআই/হক

আরও পড়ুন...