শরিফুল ইসলাম, নড়াইল: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি গ্রামে একসন্তানের জননী গৃহবধুকে গণধর্ষণসহ মারপিট করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ রবিবার(৯ আগষ্ট) সকালে কুমড়ি গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রধান ধর্ষক রিপন মোল্যাকে আটক করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতার পিতা বাদি হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে শনিবার গভীর রাতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৫। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন কুমড়ি গ্রামের মৃত সবদার মোল্যার ছেলে রিপন মোল্যা(৩৫), মৃত মওলা মোল্যার ছেলে ওহিদুল মোল্যা(২৯), তালবাড়িয়া গ্রামের আলিমুল মোল্যার ছেলে নুরনবী মোল্যা(২৫)। পুলিশ জানায়, রিপনের নামে লোহাগড়া থানায় খুনসহ ৭টি মাদক ও অন্যান্য মামলা রয়েছে। দশের অধিক মামলার আসামী রিপন।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও ধর্ষিতা নারীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুমড়ি গ্রামের গৃহবধু ও একসন্তানের জননী(২১) গত বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশ্বর্বর্তী পুকুরে হাত-পা ধুতে গেলে কুমড়ি গ্রামের রিপন মোল্যা এবং ওহিদুল মোল্যা(৩০) জোর পূর্বক নির্জন স্থানে ধরে নিয়ে তাকে গণধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ধর্ষকসহ কুমড়ি গ্রামের প্রভাবশালী তুহিন শেখ ও কামাল মোল্যার শেল্টারে শালিসের নামে ওই এলাকার জাকির(২৫), নুরুন্নবী(২৭), আশিক সিকদার(২৫)সহ কয়েকজনে ওই গৃহবধুকে মারপিট করে।
গৃহবধুর পিতা জানান, ঘটনার পর প্রভাবশালীরা আমাদের বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে গত শুক্রবার সকালে স্বপরিবারে পালিয়ে এসে নড়াইল সদর হাসপাতালে মেয়েকে ভর্তি করি।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, অন্য আসামীসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে মামলার দায়ের করা হয়েছে। প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পিবিএ/এসডি