নড়াইলে ঝড়ে প্রায় তিন হাজার পাখির মৃত্যু

bird-dead-PBA

পিবিএ,নড়াইল: নড়াইলে টানা কয়েকদিনের ঝড় ও বৃষ্টিতে অরুনিমা ইকোপার্কের প্রায় তিন হাজার দেশীয় ও অতিথি পাখি মারা গেছে। এতে পুরো পার্কটি প্রায় পাখিশূন্য হয়ে গেছে। বুধবার রাতের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে পার্র্কের গাছে থাকা সবচেয়ে বেশি পাখি মারা যায়। মধুমতি নদীর তীরসংলগ্ন কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার পানিপাড়া গ্রামে ‘কৃষি পর্যটনকেন্দ্র অরুনিমা ইকোপার্ক’ অবস্থিত। এই পার্কের গাছে গাছে হাজার হাজার পাখির অবস্থান।

কৃষি পর্যটনকেন্দ্র অরুনিমা ইকোপার্র্কের মালিক ইরফান আহম্মেদ বলেন, কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। এই শিলাবৃষ্টিতে পার্কে অবস্থানরত হাজার হাজার অতিথি পাখি মারা যায়। দেশীয় ও অতিথি মিলে মৃত পাখির সংখ্যা প্রায় তিন হাজার।

কালিয়া উপজেলার কৃষি পর্যটনকেন্দ্র অরুনিমা ইকোপার্কের চেয়ারম্যান খবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছর শীত মৌসুমসহ বছরের আট মাস বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলতানে মুখরিত হয় এই পার্ক। চলতি বছরও মৌসুমের শুরু থেকে দেশীয় ও অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে উঠে পার্কটি। পাখি সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণার একযুগ আগে থেকেই এই এলাকা পাখির গ্রাম নামে সবার কাছে পরিচিত।

তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন বিকেলে গাছের ঢালে ঢালে বসতে থাকে পাখিরা। রাত যত গভীর হয় পাখিদের আগমন তত বাড়তে থাকে। সারারাত পাখির কলতানে মুখর থাকে পুরো এলাকা। কিন্তু কয়েকদিনের ঝড়ো আবহাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে প্রায় তিন হাজার পাখি মারা যায়।

বুধবার রাতের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি পাখি মারা গেছে। এই ক্ষতি অপূরণীয়। ইকোপার্কের চেয়ারম্যান আরো বলেন, প্রায় ৬০ একর এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক হাজার পাখির বাসস্থান।

এখানে বক, হাঁসপাখি, পানকৌডি, শালিক, টিয়া, দোয়েল, ময়না, মাছরাঙা, ঘুঘু, শ্যামা, কোকিল, টুনটুনি, চডুইসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখির রাজত্ব। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার পাখির প্রজনন ঘটে। ডিম থেকে ফুটে বাচ্চা। বর্তমানে দেশের একমাত্র এই কৃষি পর্যটনকেন্দ্রটি পরিণত হয়েছে । কিন্তু এবার বৃষ্টিতে পার্কটি প্রায় পাখিশূন্য হয়ে গেছে।

এদিকে, জেলা কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় বলেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও শিলা বৃষ্টিতে খেসারি, মসুরের ডাল, গম, পেঁয়াজ, তরমুজসহ বিভিন্ন সাক-সবজির মোটামুটি ক্ষতি হয়েছে। এ বৃষ্টিতে কমপক্ষে ১০ ভাগ ফলন কম হবে।

পিবিএ/এসআই/এফএস

আরও পড়ুন...