পিবিএ,নড়াইল: নড়াইলের কালিয়ায় স্বামী ও শ্বাশুড়ীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে বিপাকে পড়েছেন এক গৃহবধূ । মামলা তুলে না নেয়ায় আসামীরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে । ওই ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধু তানজিরা বেগম উপজেলার নড়াগাতি থানায় সাধারন ডায়েরি(জিডি) করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পহরডাঙ্গা গ্রামের মৃত সায়েম উদ্দিন শেখের ছেলে হাফিজ শেখের সঙ্গে বাঐসোনা গ্রামের ওমর ফারুক শেখের মেয়ে তানজিরা বেগমের অনুমান ১৬-১৭ বছর আগে বিয়ে হয়। দীর্ঘদিন থেকে স্বামী হাফিজ শেখ ও শ্বাশুড়ী রিজিয়া বেগম নানা কায়দায় নির্যাতনের মাধ্যমে তানজিরার পরিবারের নিকট থেকে যৌতুক আদায় করছে।
সর্ব শেষ ১লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে গত ৩জুন তানজিরার স্বামী ও শ্বাশুড়ী তাকে বেদম পিটিয়ে ডাইনিং রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পরদিন ৪ জুন তানজিরার বাবা ওমর ফারুক পুলিশের সহায়তায় আহত তানজিরাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওই ঘটনায় ৭জুন তানজিরা বাদী হয়ে পাষন্ড স্বামী ও শ্বশুড়ী রিজিয়া বেগমের নামে নড়াগাতি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ এর ১১(ক)/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসার পর থেকে তানজিরাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য একেরপর এক চাপ দিয়ে আসছে। মামলা তুলে না নিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে ওই জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদি তানজিরা বেগম বলেন,‘আমাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। মামলা দায়ের করেও স্বস্তিতে নেই। দু’টি সন্তান নিয়ে আমি এখন যাবো কোথায়। আমি ন্যায় বিচার চাই।
নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন বলেন,‘তানজিরার শুক্রবারের দায়েরকৃত জিডিটি তার মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তার ওপর ন্যান্ত করা হয়েছ। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পিবিএ/শরিফুল ইসলাম/এসডি
