নড়াইলে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ : শ্বশুর-শাশুড়ী দেবর পলাতক

wife-killing-pba
জলি বেগম

পিবিএ,নড়াইল: নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের চামরুল গ্রামে জলি বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ স্বামীর বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ।

রবিবার দুপুরে নড়াইল সদর হাপাসাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর শ্বশুর, শাশুড়ী ও দেবর পলাতক রয়েছে।

নড়াইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান জানান, সদর উপজেলার চামরুল গ্রামের বক্কার বিশ্বাসের ছেলে পলাশ বিশ্বাসের সাথে একই উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের রাজপুর গ্রামের গ্রাম পুলিশ কালাম বিশ্বাসের মেয়ে জলি বেগমের ৪ বছর আগে বিয়ে হয় । দাম্পত্য জীবনে তাদের লাবিব নামে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

নিহত জলির মা সেলিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে জলির বর পলাশ বিশ্বাস মালয়েশিয়ায় চাকুরী করে। শ্মশুরবাড়িতে জলিকে তার শ্বশুর, শাশুড়ী ও দেবর মাঝে মধ্যে যৌতুক হিসেবে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতে বলতো। কিন্তু আমার স্বামী গ্রাম পুলিশের কাজ করে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। তাই আমাদের পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমার মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন অকারণে নির্যাতন চালাতো । নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কয়েকদিন আগে জলি আমার বাড়িতে চলে আসে। আর নির্যাতন করবেনা বলে মৌখিক অঙ্গীকার করে শুক্রবার বিকেলে জলিকে তার দেবর জুয়েল এসে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।

শনিবার বিকাল চারটার দিকে জলি আমার সাথে মোবাইলে কথা বলেছে। বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের সময় পাশের বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, জলি খুব অসুস্থ্য।রাতে আমরা ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি মেয়েকে ওরা মেরে ফেলেছে। জলির দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে তার শ্বশুর, শাশুড়ী ও দেবর বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস হোসেন পিবিএ‘কে জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মেয়ের শ্বশুর বক্কার বিশ্বাস, শাশুড়ী জাহেদা বেগম ও দেবর জুয়েল বিশ্বাস পলাতক রয়েছে।

পিবিএ/এসআই/হক

আরও পড়ুন...