পিবিএ,টাঙ্গাইল: ‘বিচ্ছিন্নভাবে নয় সমগ্র বেসরকারি শিক্ষা একযোগে জাতীয়করণ চাই’ এই স্লোগানে ৯ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী চাকরি জাতীয়করণ আন্দোলন টাঙ্গাইল জেলা শাখা। সোমবার দুপুরে ঘণ্টাব্যাপী টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে তারা এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম আব্দুল আউয়াল, সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রচার সম্পাদক আধ্যাপক মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক ইউসুফ আলী, অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন, অধ্যক্ষ হাসান আলী প্রমুখ।
এ সময় জেলা উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষক ও কর্মচারী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরন ও একনীতির শিক্ষা ব্যবস্থা চালু এখন সময়ের দাবি। তাই চাকরি একযোগে জাতীয়করণই হলো শিক্ষা বাচানোর একমাত্র সমাধান। অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাষ্টের জন্য জারীকৃত ১০% কর্তন প্রজ্ঞাপন বাতিল করে পূর্বের ন্যায় ৬% কর্তন করা। অদ্যবদী আমাদের নেই যথোপযুক্ত বেতন স্কেল ও গ্রেড, নেই সহকারী অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকের পদোন্নতি, যথাযথ বাড়ীভাড়া, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা বদলির সুযোগ ও চিকিৎসা ভাতা, নেই সমাজিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক মুক্তি।
দাবিসমূহ হলো, ১০% কর্তন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে পূর্বের ন্যায় ৬% কর্তন বহাল করা, একযোগে বেসরকারী শিক্ষা জাতীয়করন চাই, অবসর সুবিধা আইন প্রত্যাহার করে পূর্বের ন্যায় ৬% কর্তন বহাল করা, অনুদান সহায়তা নামক প্রাপ্ত টাকার বেতন উপর ধার্যকৃত কর প্রত্যাহার করা,
ঈদের পূর্বের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাত প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা, অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ নিয়োগ অভিজ্ঞতার জন্য জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে পূর্বের নীতিমালা বহাল করা, গ্রেট/টাইম স্কেল প্রদানের জারিকৃত নতুন (এমপিও) নীতিমালা সংশোধন করে পূর্বের নীতিমালা পুনঃবহাল করা, পদোন্নতির অনুপাত প্রধা (৫.২) প্রত্যহার করে প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক পদোন্নতি বন্ধ করে সার্বিকভাবে সকল প্রতিষ্ঠান হতে জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদোন্নতি প্রদান করা, নন (এমপিও) অনার্স ও মাষ্টার্স বিষয়ে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের এমপিও ভূক্তির ঘোষনা প্রদান করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
পিবিএ/এমআর/আরআই