পঞ্চগড়ে উপজেলা বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ইনসান,সাগরেদ পঞ্চগড় প্রতিনিধি: আমাদের যে নতুন স্বাধীনতা এসেছে সেই স্বাধীনতাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। আজ পঞ্চগড় তেতুঁলিয়া উপজেলা বিএনপির ডাকে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৩টায় বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের নাওয়া পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তেতুঁলিয়া উপজেলা বিএনপিসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ব্যারিস্টার নওশাদ জমির।এত পরিমান নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে মুহূর্তেই মতবিনিময় সভাটি বিশাল জনসভায় রুপ নেয়। প্রখর রৌদ্রের তাপ উপেক্ষা করে তেতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড ইউনিয়ন,জেলা বিএনপি,জেলা যুবদল,জেলা ছাত্রদল,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, জেলা মহিলা দল, কৃষক দল,মৎস্যজীবী দলসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নাওয়াপাড়া স্কুল মাঠে স্লোগান নিয়ে সভায় যোগ দেন। আবার কেউবা ব্যারিস্টার নওশাদ জমির নেতাকে এক পলক দেখার জন্য ভীর জমান।

নেতাকর্মীদের চোখে মুখে ছিলো আনন্দঘন মুহূর্ত, সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় জেলা বিএনপির কারা নির্যাতিত নেতা আহবায়ক জাহিরুল ইসলাম (কাচ্চু),সাবেক সংরক্ষিত মহিলা এমপি এ্যাড.রিনা পারভীন, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এ্যাড.আদম সুফি,জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক সাবেক অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের পিএস এম এ মজিদ, এ্যাড.বারি প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির বলেন ৫ আগস্ট থেকে কোনো ট্রাফিক ব্যাবস্থা ছিলো না আপনারা তা জানেন, কিন্তু কিভাবে আমাদের ছেলে-মেয়েরা ঢাকাসহ সারাদেশে খুব সুন্দর ভাবে ট্রাফিক পুলিশের কাজ করেছে। দ্রব্যমুল্যের বিষয়েও তারা বাজার মনিটরিং করছে। এরকম একটি শক্তির বিরুদ্ধে কিভাবে যুদ্ধ করেছে এবং সৈরাচারি আওয়ামিলীগকে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করেছে। আমাদের এমনি একটি রাজনৈতিক দল যে দলের নেতা স্বাধীনতার ঘোষণা করেছে। যে দলের নেতা বাংলাদেশের বহুদলিয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে পরিচিত। আমরা সবাই বাংলাদেশি কাজেই এখানে কোন ভেদাভেদ নেই, নেই কোন বৈষম্য, এদেশে সবার সমান অধিকার রয়েছে, রয়েছে বাক স্বাধীনতা। এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। সুতরাং আন্দোলনকারীদের এ দেশের মানুষ কখনো ভুলবেনা। তাদের অবদানের কথা ইতিহাসের পাতায় লিখা থাকবে।

আরও পড়ুন...