পঞ্চগড়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

ইনসান সাগরেদ,পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পৌরসভা ও পাঁচ উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা ক্ষন্ড ক্ষন্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি জেলা কার্যালয়ে সমবেত হন। এসময় অফিস কার্যালয়ের আশে পাশে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপি পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বলেন আমাদের যে বর্ণাঢ্য রেলি শুরু হবে এই রেলির কারণে সাধারণ মানুষ যেন ভোগান্তির শিকার না হয় ও যানযটের সৃষ্টি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।

জেলা ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপি দলীয় কার্যালয় হতে বর্ণাঢ্য রেলি টি শহর প্রদক্ষিণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বর্ষিয়ান নেতা জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু,কেন্দ্রীয় বিএনপি পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু দাউদ প্রধান, বিএনপি নেতা মো: ইউনুস শেখ, সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব সেকেন্দার আলী, বিএনপি নেতা সোয়েব আলী সবুজ, সাবেক পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রনিক, জেলা যুবদল সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেল, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক মাহমুদার রহমান (মাহাবুব), সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন (তাপস), ছাত্র ও যুবনেতা মো: হায়তুন আলম, জেলা ছাত্রদল সভাপতি তারেকুজ্জামান তারেক, সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান জাপান, সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা প্রমুখ।

৭ই নভেম্বর ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবসের বক্তব্যে ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি ১০ দিনব্যাপি কর্মসুচি ঘোষণা করা হয়েছে। ৭ই নভেম্বরের তাৎপর্য সম্পর্কে আমরা আমাদের নেতা-কর্মীরা নতুন প্রজন্ম প্রত্যোকের কাছে পৌছে দিতে পারি। ৭ই নভেম্বর ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার অনেক মিথ্যাচার করেছে এবং আমাদের ৭ই নভেম্বরের ইতিহাস বিকৃত করে তাদের মত করে তারা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচার করেছেন।

একটি কথা চিরন্তন সত্য পাথরে লিখা নাম ক্ষয়ে যাবে হৃদয়ে লিখা নাম সে নাম রয়ে যাবে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের হৃদয়ে আছেন। বাংলাদেশের মানুষ জানেন এমন সৎ ও ত্যাগী নেতা আর তৈরি হবেনা আমাদের মাঝে। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়েও জনগণের সাথে তামাশা করেছে। করেছে ইতিহাস বিকৃত।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার অবুঝ দুটি সন্তান ও স্ত্রীর কথা না ভেবে জীবনবাজি রেখে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি, তখন আওয়ামী লীগ নেতারা কোথায় ছিলো। আওয়ামী লীগ হচ্ছে ফ্যাসিস্ট লীগ।গত ১৫ বছরে বাংলার মানুষ হারে হারে চিনতে পেরেছে তাদের। মানুষের বাক স্বাধীনতা হরন করেছে। হত্যা গুমের সাথে শেখ হাসিনার রক্তে মিশে আছে।

আরও পড়ুন...