পঞ্চগড়ে নার্সকে মারধর, থানায় অভিযোগ

ইনসান সাগরেদ,পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে রোগী দেখতে দেরি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে নার্সের উপর হামলার অভিযোগ। রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে ভুক্তভোগী সিনিয়র স্টাফ নার্স মহি উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের নামে এজাহার দায়ের করেছেন। আসামী করা হয়েছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের খোলাপাড়া এলাকার মো.রাব্বি (২৫),তার বাবা হাসান তারেক(৫৫)ও পঞ্চগড় জালাসী এলাকার মানিক হোসেন (৪২)।

অভিযোগ থেকে জানা যায়,শনিবার সন্ধ্যার পরে গরম চা বুকে ও পেটে পরে পুড়ে যায় শিশু আয়ানের(১৪ মাস) ওপরে।আয়ান কে কোলে নিয়ে তার বাবা রাব্বি ও রাব্বির বাবা হাসান তারেক ছুটে যান হাসপাতালে। কর্তব্যরত ডাক্তার রোগী না দেখাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে রাব্বি মহি উদ্দিন নামে নার্সের গায়ে হাত তোলেন। মারধরের অভিযোগে রোববার দুপুরে একদল নার্স থানায় গিয়ে মামলার এজাহার জমা দেন।

রাব্বির পরিবার জানায়, রোগী নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলেও চিকিৎসক অসুস্থ শিশুটিকে দেখেনি। এরপর পোড়া অংশে লাগানোর মলমটিও ভালো করে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। বিষয়টি নিয়ে নার্সদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। দীর্ঘ সময় পর শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই শিশুটিকে রেফার করা হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে শিশু আয়ানের অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

এদিকে ভুক্তভোগী সিনিয়র স্টাফ নার্স মহি উদ্দিন বলেন, তাদের উগ্র আচরণের কারণে শুরু থেকেই শিশুটির চিকিৎসা সেবা বাধাগ্রস্ত হচ্ছিলো। তারা আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে এবং এক পর্যায়ে আমার গায়ে হাত তোলে।

আয়ানের দাদা বলেন,আমি দীর্ঘ সময় শিশুটিকে কোলে নিয়ে দাঁড়ীয়ে ছিলাম।ডাক্তার আমার নাতিকে একবারও দেখেনি।তারা চিকিৎসা দিতে অবহেলা করছিল।তারা আমার নাতির পোড়া অংশে মলম লাগিয়ে দেয়।বৃষ্টির কারণে বাইরে বেড় হওয়া যাচ্ছিলোনা। আমরা বার বার অনুরোধ করি আরেকটু মলম লাগিয়ে দেওয়ার জন্য। প্রয়োজনে পরে মলম কিনে দেওয়ারও কথা বলি। কিন্তু তারা এতই পাষান ছিলো যে কিছুতেই কথা শুনেনি। শুরু থেকেই তাদের অবহেলা আর উগ্র আচরণে আমার ছেলে রেগে গিয়ে একজন নার্সকে একটু ধাক্কা দিয়েছে। আসলে হাসপাতালের স্টাফের আচরণ এতো খারাপ হয়েছে যে আমার নাতিকে আমি চিকিৎসা করাতে পারিনি। পরে বাধ্য হয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করতে বাধ্য হই। তারা খারাপ আচরণ করে এখন উল্টো আমাদের নামে থানায় অভিযোগ করেছে বলে শুনেছি।

পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রঞ্জু আহম্মেদ বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন...