পটুয়াখালীর দুমকিতে এলজিইডির আয়রণ ব্রিজ শুধুই কাঠামো

পিবিএ,দুমকি (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর দুমকিতে এজিইডির নির্মিত আয়রণ ব্রিজটি শুধুই কাঠামো হওয়ায় কোনই উপকারে আসছে না এলাকাবাসীর। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এডিবি’র অর্থায়নে আয়রণ ব্রিজের কাঠামো নির্মান সম্পন্নের পর ফেলে রাখায় এলাকাবাসী ব্রিজটি পারাপারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। ফলে দীর্ঘদিনের পারাপারের ভোগান্তি রয়েই গেছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখাগেছে, উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের কার্ত্তিকপাশা ছবদার মৃধা বাড়ি সংলগ্ন কচ্ছপিয়া খালের ওপর একটি নতুন আয়রণ ব্রিজের কাঠামো দাড়িয়ে আছে। লোহার বিম, এ্যাঙ্গেলের কাঠামো নির্মাণ করা হলেও স্লীপার (পাটাতন) না দেয়ায় ব্রিজটি পারাপারের কোন উপায় নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, লেবুখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার সিকদার তাঁর সময়ে এডিবি প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রিজটির আয়রণ কাঠামো তৈরী করেছেন কিন্ত প্রকল্প মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও স্লীপার না দেয়ায় জন পারাপারের ভোগান্তি রয়েই গেছে। এখন স্লীপার না দেয়ায় রোদ-বৃষ্টিতে আয়রণ কাঠামোতে মরিচা ধরে নস্ট হচ্ছে।

লেবুখালী ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: আনিসুর রহমান মৃধা পিবিএ’কে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান প্রকল্পের সিপিসি হয়ে ব্রিজটির বিম, এ্যাঙ্গেল দিয়ে কাঠামো তৈরীর কাজ করেছেন। তবে কত টাকা বরাদ্দ ছিল আর কয় টাকার কাজ করেছেন তা কেবল মাত্র তিনি জানেন। এতে জনগনের কোন উপকার হয়নি। এ পথে চলাচলকারী লোকজনের পারাপারের ভোগান্তি রয়েই গেছে। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, আয়রণ ব্রিজটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে পুরো অর্থই তুলে নিয়েছেন প্রকল্প চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে প্রকল্পের সিপিসি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার সিকদার পিবিএ’কে বলেন, শুধুমাত্র আয়রণ কাঠামো নির্মাণের বরাদ্দ দেয়ায় এতটুকু করা হয়েছে। এখন নতুন ভাবে বরাদ্দ দেয়া হলে স্লীপার বসানো হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী দিপুল কুমার বিশ্বাস পিবিএ’কে বলেন, উপজেলা পরিষদের বরাদ্দে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কতটাকা বরাদ্দ ছিল এবং চুড়ান্ত বিল দেয়া হয়েছে কিনা তা ফাইল না দেখে বলতে পারছি না। আমার জানামতে অসম্পন্ন কোন কাজের বিল দেয়া হয়নি।

পিবিএ/এসএইচ/এমএসএম

আরও পড়ুন...