পড়া ভুলে যাচ্ছে সন্তান, আপনিও স্মৃতি হারাচ্ছেন?

পিবিএ ডেস্কঃ ‘ফাইটিং ফিট’ হওয়া সত্ত্বেও যদি স্মৃতি বিশ্বাসঘাতকতা করে, চিন্তা হয় বইকি! কিন্তু ঘটনা হল, এই সমস্যা কিছুটা ডেকে এনেছি আমরাই৷ প্রযুক্তির কল্যানে একটা ফোন নম্বরও মুখস্থ রাখি না, মনে রাখি না জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী বা জরুরি বৈঠকের তারিখ৷ তার বদলে মোবাইলে অ্যালার্ম সেট করে দিই৷ রাস্তাঘাট মনে রাখার ঝামেলা থেকেও মুক্তি দিয়েছে বিভিন্ন অ্যাপ৷ মনে রাখার কোষদের গায়ে তাই মরচে পড়ছে৷ কমছে কার্যকারিতা৷ সঠিক খাবার না খাওয়া ও শুয়ে–বসে থাকার অভ্যাসের ফলে সমস্যা বাড়ছে আরও৷

এই বিপদ থেকে মুক্ত নয় শিশুরাও। হাজার পড়ার ভিড়, কিন্তু মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখবে এমন উপায় হাতে আসছে কই? বাজারচলতি কিছু টনিকে ভরসা করছেন অনেক অভিভাবক। স্মৃতি যাতে প্রতারণা না করে, তা ঠেকাতে বিজ্ঞানীরা কয়েকটি খাবারের হদিশ দিয়েছেন৷ যা নিয়ম করে খেলে ও একটু শরীরচর্চা করলে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়তে বাধ্য৷

স্মৃতি বাড়ানোর খাবারঃ নিউরোসায়েন্সে প্রকাশিত এক স্টাডিতে দেখানো হয়েছে, যে সমস্ত মোটা মানুষ ছ’মাস ধরে রেসভারেট্রল সাপ্লিমেন্ট খেয়েছেন, বড় তালিকায় লেখা নাম তাঁরা আধ ঘণ্ঢা পরেও বেশ মনে রাখতে পেরেছেন৷ আর যাঁরা খাননিস তাঁরা সে ভাবে পারেননি৷ রেসভারেট্রল প্রচুর পরিমাণে থাকে ডার্ক চকোলেটে৷ এবং এর আসল কাজ বয়স ধরে রাখা৷ তার পাশাপাশি মনে রাখার ক্ষমতা বাড়াতেও তার জুড়ি নেই৷

এই একই কাজের কাজি ডিএইচএ নামে ওমেগা–থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড৷ তৈলাক্তে মাছে যা আছে ভরপুর৷ ফল–শাক–সব্জির অ্যান্টিক্সিড্যান্টও কম যায় না৷ বিজ্ঞানীরা দেখেছেন বয়স হলে মস্তিষ্কের তথ্য চালান করার ক্ষমতা যে কমতে থাকে, তার গতিবেগ থামাতে ও স্মৃতি বাড়াতে এই সব প্রাকৃতিক খাদ্য খুবই কার্যকর৷ কার্যকর গ্রিন টি–র অ্যান্টিক্সিড্যান্টও৷

সারা দিনের রুটিনে কী কী রাখতে পারলেই পড়াশোনা থেকে জরুরি তথ্য থেকে যাবে মাথায়ঃ-

· দিনে ২–৩ বার দুধ–চিনি ছাড়া গ্রিন টি খান৷ মনে রাখার ক্ষমতা বাড়বে, বয়স ধরে রাখা সহজ হবে৷

· দিনে বার দুয়েক টাটকা ফল খান৷

· স্ন্যাক্স হিসেবে খান ৪–৫টা করে অ্যামন্ড, আখরোট, কিসমিস৷

· দুপুরে খান মাছ ও টাটকা শাক–সব্জি৷ রাত্রেও তাই৷ চিকেনও চলতেই পারে।

· মাঝে মাঝে খান ডার্ক চকোলেট৷

· ডাক্তারের পরামর্শমতো রেসভারেট্রল সাপলিমেন্টও খেতে পারেন৷

· খোলা জায়গায় মর্নিং ওয়াক করুন৷ সাঁতার বা জগিংয়েও ফল পাবেন৷

· ডিপ ব্রিদিং, যোগা ও মেডিটেশন করে মন শান্ত রাখুন৷

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...