ডিআইজি মিজানের পদোন্নতিতে বাধা নেই বললেন আইনজীবী

ভূতোপেক্ষ পদোন্নতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছেন পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল( ডিআইজি )মো. মিজানুর রহমান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবরে করা আবেদনে তিনি পদোন্নতির সঙ্গে বকেয়া পাওনাদি পরিষদের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রশাসনিক আপিল ট্রাইবুনাল এবং উচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে ডিআইজি সহ পরবর্তী উচ্চ পদে পদোন্নতি পেতে তার আর কোন বাধা নেই বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার মৌসুমী কবিতা ফাতেমা বলেন, ‘পদোন্নতির ফোরাম হচ্ছে প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল। সেই প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল এবং আপিল

ট্রাইব্যুনালের রায়ও ডিআইজি মিজানের পক্ষে আসে। সর্বশেষ আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় যথাযথ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে ডিআইজি মিজানুর রহমানের পরবর্তী পদোন্নতির ক্ষেত্রে আর কোন আইনি বাধা নেই।’তিনি আরো বলেন, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায় মিজানুর রহমানের পক্ষে এলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে রায়ের বিরুদ্ধে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়। জবাবে আইন মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে, ট্রাইব্যুনালের রায় যথেষ্ট আইন ও তথ্য নির্ভর। আপিল করলেও আইনত তা গ্রহণযোগ্য হওয়ার বা ফল লাভের সম্ভাবনা ক্ষিন। এখানে রাষ্ট্রীয় অর্থ ও সময় অপচয়ের আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে ডিআইজি মিজানের রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, আপিল বিভাগের রায়ে কিছু করণিক ভুল রয়েছে। আমরা সংশোধন যে আবেদন করেছি। এ আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ২৩ শে অক্টোবর দিন ঠিক করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জর্জ আদালত।

প্রসঙ্গত মিজানুর রহমান ১৭ তম বিসিএস (পুলিশ ক্যাডার) পরীক্ষায় প্রথম স্থান সহ সম্মিলিত মেধা তালিকায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে ১৯৯৮ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন। ২০০৩ সালে এডিশনাল এসপি ও ২০০৬ সালে এসপি হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। সর্বশেষ হাইকোর্টের রায় তিনি ২০১৮ সালের ৩ জুলাই ডিআইজি হিসেবে রেঙ্ক ব্যাচ পরেন।

আরও পড়ুন...