পিবিএ,ফরিদপুর: ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চরসালেপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বাঁশের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। একমাস ধরে মাছ শিকার করা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ভ্যাবস্থা নেয়া হয়নি।
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গোপালপুর থেকে মৈনট ঘাটে যাওয়ার চ্যানেলের মধ্যবর্তী চরসালেপুর এলাকায় প্রায় ১৫শ’ মিটার পর্যন্ত আড়াআড়ি ভাবে কয়েক হাজার বাঁশ পুঁতে অবৈধভাবে বাঁধ দেয়া হয়েছে। নদীর মূল প্রবাহে আড়াআড়িভাবে তৈরি করা বাঁশের বাঁধের সাথে জাল দিয়ে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে মাছ শিকার চলছে। বাঁধের কারনে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ও মাছের অবাধ বিচরন ছাড়াও নৌযান চলাচল মারাত্বকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বাঁধ দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমান ঝাটকা ইলিশ, রুই, কাতল, চিতল, পাঙ্গাস, বোয়ালসহ জাটকা ইলিশ ধরা পড়ছে।
নাম প্রকাশে এক স্থানীয় এক ব্যাক্তি জানান, কিছু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিকে ম্যানেজ করে কিছু অসাধু মানুষ অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে। এতে প্রকৃত মৎস্যজীবিরা বিপাকে পড়েছে। তারা ভাটিতে থাকায় মাছ পাচ্ছেন না। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্ঠে দিন কাটাচ্ছেন প্রকৃত মৎস্যজীবিরা।
পদ্মায় অবৈধ বাধঁ দিয়ে মাছ ধরার বিষয়টি জানা নেই দাবী করে চরঝাউকান্দা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরহাদ মৃধা বলেন, কেউ যদি এভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরে তবে সেটা ঠিক করেনি। তাৎক্ষনিক তিনি বিষয়টি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
বাধঁটি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই দেয়া হয়েছে দাবী করে বাঁধ মালিকদের একজন কাসেম মেম্বার বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বাঁধ দিলেও মাছ না পড়ায় বাঁধ সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি শেয়ার মালিকরা। গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সুযোগ দিন আগামী কালই (বৃহস্পতিবার) বাঁধটি উঠিয়ে ফেলবো।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মালিক তানভির হোসেন জানান, নদীতে বাধঁটির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তাছাড়া নদীতে এভাবে অবৈধভাবে বাধঁ দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। তিনি আরও জানান, ১৯৫০ মৎস্য সংরক্ষন আইন অনুযায়ী নদীতে আড়াআড়িভাবে বাধঁ দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধঁ। আমরা অতি শিঘ্রই তদন্ত করে দুই, একদিনের মধ্যে বাঁধ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।
চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা জানান, অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
পিবিএ/এম আই/হক