নাজমুল হুসাইন,ইবি: সব বাধা জয় করে স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তব। নিজ অর্থে বিশাল এ সেতু বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর। যার মধ্য দিয়ে অবসান হয় দীর্ঘ প্রতীক্ষার। উন্মোচন হয়েছে নতুন সম্ভাবনার দ্বার।
এদিকে সেতুটির জমকালো উদ্বোধন উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আনন্দের জোয়ার বয়ে চলেছে। সকাল ৯টা ৩০মিনিটে বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। তার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে আনন্দর্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টিএস সিসি তে এসে শেষ হয়। এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমানসহ বিভিন্ন সমিতি, অনুষদ, হল, বিভাগ, পরিষদ ও ফোরাম, ছাত্র সংগঠন এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও সকাল ১০টা থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহ, পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী সরাসরি সম্প্রচার অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে অংশ নেন। এরপর টোল দিয়ে সেতুতে উঠে সেখানে থাকা উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন। পরে গাড়িতে করে সেতু পার হয়ে জাজিরায় আরেকটি ফলক উন্মোচন করেন। এসময় জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে মুখরিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, অনেকেই বলে পদ্মা সেতু আমাদের আঞ্চলিক যোগাযোগ নিশ্চিত করবে। তবে আমি মনে করি এটি শুধু এপার-ওপারকে নয়, একদিন সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সংযুক্ত করবে। আর বাংলাদেশ হয়ে উঠবে কেন্দ্রবিন্দু। শত বাঁধা-বিপত্তি মোকাবেলা করে আজ সত্যি হয়েছে কোটি মানুষের স্বপ্ন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অসাধ্য সাধন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে ছাত্র ছিলাম, তখন যেভাবে পতাকা নিয়ে দৌড়িয়েছিলাম, আজকে মনের ভিতরে তেমন একটা দৌড়ের তাগিত অনুভব করছি।