ইছা হক,রাবি: ১৮ কোটি বাঙালির দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হলো আজ। ঐতিহাসিক এই মাহেন্দ্রক্ষণটির সাক্ষী হতে উৎসবে মেতেছে সারাদেশ। আর এই উৎসবে শামিল হতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী।
শনিবার (২৫ জুন) সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে এই আনন্দ র্যালিটি বের হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এসে শেষ হয় শোভাযাত্রাটি।
শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশের মানুষ এখন স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। স্বপ্নের এই পদ্মাসেতু দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির পটপরিবর্তনে পথে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মাসেতুর উদ্বোধন এ দেশের মানুষের এক অভাবনীয় পাওয়া। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠনের ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই সোনার বাংলা গঠনের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ সরকারের হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলা গড়ে উঠবে বলে মনে করেন উপাচার্য।
এরপর পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবন ও এর বাহিরে প্রজেক্টরের ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ অধিকর্তা, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় সভাপতি, হল প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উৎসবমুখর পরিবেশে উপভোগ করেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি।
এদিকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে স্বরণীয় রাখতে দুপুরে ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের ব্যবস্থায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,উপ-উপাচার্যদ্বয় চৌধুরী মো.জাকারিয়া এবং অধ্যাপক মো.সুলতান-উল-ইসলাম,কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক (অব.) মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে প্রমুখ।
এছাড়া সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও থাকবে।