শফিউল আলম প্রধান কমল: বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসের স্লোগান ছিল “পরিচ্ছন্ন রাজনীতি, যুবলীগের প্রতিশ্রুতি”। যুবলীগের বর্তমান নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই যুবলীগকে পরিচ্ছন্ন রাজনীতির পাঠশালা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার সঠিক নির্দেশনায় বর্তমান নেতৃত্বের কঠোর পরিশ্রম ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে যুবলীগ তার সঠিক গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন, যার প্রমাণ সমগ্র দেশবাসীর সামনে, মহান জাতীয় সংসদে, প্রাণপ্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র যুবলীগের কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ।
ইতিমধ্যে যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যুবলীগ চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক, সারা বাংলাদেশের বেকার যুবকদের তথ্য সংগ্রহ, কাজের ক্ষেত্র, কাজের পরিধি ও পদ্ধতি নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং আশা করছি খুব শীঘ্রই সমগ্র দেশবাসী এ ব্যাপারে আশার আলো দেখতে পাবেন।
করোনাকালীন সময়ে বিশ্ব মানবতার নেত্রী, মমতাময়ী জননী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর সঠিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সারা বাংলাদেশে প্রায় ৪২ লক্ষ্য গরিব, দুঃখী, অসহায়, কর্মহীন, পথশিশু ও ছিন্নমূল মানুষের পাশে খাদ্য সহায়তা প্রদান, করোনা রোগী ও মৃত্যু ব্যক্তির লাশ বহনের জন্য ২০ টি ফ্রী এম্বুলেন্স সার্ভিস সেবা, করোনা রোগীদের অনলাইনে স্বাস্থ্য টিপস এর জন্য টেলিমেডিসিন সার্ভিস সেবা ও সারা বাংলাদেশে বন্যার্ত মানুষের পাশে খাদ্য সহায়তা প্রদান, করোনায় মারা যাওয়া মৃত্যু ব্যক্তির লাশ দাফন করে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আজকে সমগ্র দেশবাসীর কাছে “মানবিক যুবলীগ” এ পরিণত হয়েছেন।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে যুবলীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সারা বাংলাদেশে অব্যাহত রয়েছে। “গাছ লাগাই, জীবন বাঁচাই” স্লোগানকে সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি নেতাকর্মীকে তিনটি করে বৃক্ষ রোপন করার আহ্বান জানান। এরই ফলশ্রুতিতে সারা বাংলাদেশে যুবলীগ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন, শুধুমাত্র আষাঢ় মাস থেকে পরবর্তী তিন মাস যুবলীগ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩২ লাখ বৃক্ষরোপণ করেছেন, যে কার্যক্রম এখনো চলমান। যুবলীগ ৫০ লাখ বৃক্ষরোপন করার লক্ষ্য নিয়েছেন।
মানবিক যুবলীগের কার্যক্রম অব্যাহত আছে এবং বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে খাবার সহায়তা দিয়ে সহযোগিতা করা ছাড়াও যুবলীগের প্রতিটি ইউনিট শোকাবহ আগস্ট মাসে পথশিশু ও ভবঘুরে মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ চলমান রেখেছেন। শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় যুবলীগ কেন্দ্রীয় পার্টি অফিস, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও পান্থকুঞ্জ পার্ক মাঠে ১ আগস্ট থেকে পর্যন্ত পথশিশু ও ভবঘুরে মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
করোনাকালীন সময়েও যুবলীগ তার সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন, সাংগঠনিক কাজে কোন প্রকার অবহেলা বা ঘাটতি ছিল না। এসময়ের মধ্যে অনলাইনে সার্বিক কার্যক্রম দেখভাল করেছেন। কেউ অপকর্মে জড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করা ও তথ্য যাচাই-বাছাই করে দ্রুত সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেছেন, অপকর্মে যারাই জড়িত, তাদেরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি। সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ২০ নং ওয়ার্ডের সকল পর্যায়ের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে, বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীদের বহিষ্কারও করা হয়েছে। গত ২৩ আগস্ট ২০২০, সাংগঠনিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকায় ফরিদপুর জেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। যুবলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেছেন, যুবলীগের কেউ অপকর্মে জড়িত থাকলে আপনারা তাদেরকে পুলিশে ধরিয়ে দিন, যারা অপকর্ম করবে তারা যুবলীগের কেউ না। যুবলীগ কোন অপরাধীকে লালন-পালন বা আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন না। যুবলীগ শীর্ষ নেতৃত্বের এমন দ্ব্যর্থহীন কথা যুবলীগের পরিচ্ছন্ন রাজনীতিরই ইঙ্গিত দেয়।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর অনুভূতি ব্যক্ত করার সময় একটি কথা বলেছেন যে, “আই হেট পলিটিক্স” মনোভাবাপন্নদের ধারণা তিনি ভুল প্রমাণ করবেন এবং তাদেরকে তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত করার সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। ইতিমধ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান তা সফলও হয়েছেন কারণ যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হতে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতারা তাদের জীবন বৃত্তান্ত যুবলীগ পার্টি অফিসে জমা দিয়েছেন। করোনাকালীন সময়ে পদ-পদবী না থাকা সত্ত্বেও অসহায়, দুস্থ, গরিব ও কর্মহীন মানুষের পাশে আন্তরিকতা নিয়ে খাবার সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। বর্তমান যুবলীগে কাজ করার জন্য আন্তরিকতার কোন অভাব নাই। আর এসব সম্ভব হয়েছে বর্তমান নেতৃত্বের কারণে। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এর নেতৃত্বে, যে উদ্দেশ্য যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের দিকেই যুবলীগ অগ্রসর হচ্ছেন, সেজন্য আজ যুবলীগের সত্যিকারে নেতাকর্মীরা নব উদ্যমে উজ্জীবিত। যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস নিয়েই যে কোনো কর্মসূচি পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত।প্রাণপ্রিয় সংগঠন, মানবিক যুবলীগ এর জন্য শুভ কামনা রইল।
লেখক: শফিউল আলম প্রধান কমল
সাবেক আইন সম্পাদক, ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
পিবিএ/রেজাউল করিম/এমআর