বলিউডে এই সময়ে অন্যতম মেধাবী অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। সর্বশেষ সিনেমা ‘মিশন মঙ্গল’ আয় করেছে ১৫০ কোটি রুপির মতো। অথচ এই নায়িকার ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলো ছিল ভয়ংকর ও আতঙ্কের। সম্প্রতি ভারতীয় বার্তা সংস্থাকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান ‘দ্য ডার্টি পিকচার’-খ্যাত বিদ্যা। সেখানে ওঠে আসে কাস্টিং কাউচের বিব্রতকর অবস্থা। বিদ্যা বলেন, “আমার একটা দিন মনে পড়ছে চেন্নাইয়ে, এক পরিচালক আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। আমি বলেছিলাম চলুন কফি শপে বসে কথা বলি, কিন্তু তিনি ক্রমাগত আমাকে বলছিলেন হোটেল কক্ষে যেতে। আমি উঠে আমার ঘরের দরজাটা খুলে দিয়েছিলাম, তারপরই পাঁচ মিনিটে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায় সে।
আরও বলেন, “একবার একজন লিখেছিল, বিদ্যা যা ড্রেস পরে তাতে কোনো ব্যবসা তো দূর, ঘরে বসে থাকা উচিত। এই কথাটা আমাকে অনেক দিন তাড়িয়ে বেরিয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম আর রাগ হতো। এখন এই কথাগুলো আমাকে ছোঁয় না। বিদ্যা জানান, তামিল ইন্ডাস্ট্রিতে ডজন খানেক ছবিতে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সবাই কথা দিয়েছিল মৌখিকভাবে। লিখিত চুক্তি ছিল না বলে অন্য নায়িকাকে নিয়ে বিদ্যাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অভিনেত্রী বলেন, “আমার বাবা-মা চেন্নাই এসে প্রযোজকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ওই প্রযোজক কয়েকটি ক্লিপ দেখিয়ে বলেছিল, ওকে কী কোনো দিক থেকে নায়িকা মনে হয়?
মায়ের কাছ থেকে ঘটনার কথা শুনে অনেক দিন আয়নায় মুখ দেখতে পারেননি বিদ্যা। নিজেকে অত্যন্ত কুৎসিত মনে হয়েছিল তার। বিদ্যা বলেন, “আমার নিজের ওপর ঘেন্না হয়েছিল, নিজেকে এত কুৎসিত মনে হয়েছিল! ওই ঘটনার পরে আমি আয়নার সামনে দাঁড়াতে পারতাম না, মাসের পর মাস… আমি অনেক দিন ওই লোকটিকে ক্ষমা করতে পারিনি। কিন্তু আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে মনে হয় যে ওই অভিজ্ঞতাটা আমাকে নিজেকে আরও বেশি করে ভালোবাসতে শিখিয়েছে। আমি যেমন, আমি তেমনই, এটা মেনে নিতে শিখিয়েছে। শুধু তামিল ছবিতে নয়, মালায়ালাম ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতাও খুব একটা ভালো নয় বিদ্যার। তবে প্রথমবার বড় সুযোগ পান কলকাতার সিনেমায়। এরপর বলিউড যাত্রা সহজ হয়ে যায়।
পিবিএ/বিএইচ