পিবিএ,ইবি: পরিবহন নির্ভর ইসলামী বিশ^বিদালয়ের পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থী-শিক্ষকের উম্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পরিবহনের বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসের ডায়না চত্তরে যৌথভাবে এর আয়োজন করেন বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রমৈত্রী ও ছাত্র ইউনিয়ন।
এই উম্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শতাধিত শিক্ষার্থী। এসময় লিখিতভাবে প্রশ্ন ও পরামর্শ নেয়া হয়। এছাড়া প্রশ্ন উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বন্ধের দিনে পর্যাপ্ত বাস না থাকায় ঠাসাঠাসি করে শিক্ষার্থীদের কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শহরে যাতায়াত করতে হয়। অপ্রাপ্ত বয়সক চালক ও সহযোগীদের দ্বারা ভাড়া করা বাস গুলো পরিচালিত হয়, ফিটনেস বিহিন অবৈধ গাড়ি ব্যবহার করা হয়, ঝিনাইদহ থেকে আসা ভাড়ি গাড়ি গুলো রাস্তায় প্রতিযোগীতা করে চলাচল করে। এতে প্রায় সময়ই ছোট ছোট দূর্ঘটনার শিকার হয় শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া, সমাজকর্ম বিভাগের লাবন্য লাবনী অভিযোগ করেন, বাসে রুট প্লান টানিয়ে দেওয়া না থাকায় বিপাকে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।’ ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের হাবিবুল ইসলাম মোস্তা বলেন, ‘ড্রাইভার ও হেল্পারদের আচরণ প্রচন্ড খারাপ। ভাড়া বাস গুলোতে উঠতে গেলে প্রায় সময়ই নিতে চায়না। তারা বাস ফাঁকা রেখে বিশ^বিদ্যালয়ের বাইরে গিয়ে সাধারণ যাত্রীদের উঠায়। এতে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের দাঁড়িয়ে যেতে হয়। হেল্পার ভাড়া উঠাতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের নিকটও ভাড়া চেয়ে বসে। আব্দুল্লাহ হক নামের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ঝিনাইদহ রুটের বাস গুলো সময় অনুযায়ী চলে না। রাস্তায় বাইরের যাত্রী উঠাতে গিয়ে দেরীতে পৌঁছাতে হয় আমাদের। অনেক সময় রাস্তার মাঝে নামিয়ে দেয়। ইসলামের ইতিহাস বিভাগের বিপুল হোসেন খান বলেন, ‘কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ থেকে আসা ভাড়া বাসের অধিকাংশ ড্রাইভাররা অদক্ষ। যার ফলে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।’ এছাড়াও প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী লিখিতভাবে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন।
এদিকে এই আলোচনায় বিশ^বিদ্যালয় পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক রেজওয়ানুল ইসলাম ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক সাইদুর রহমান উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও আসেননি বলে অভিযোগ করেছে আয়োজকরা। চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শফিউল ইসলাম বলেন, ‘পরিবহন নিয়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সংক্রান্ত আলোচনা সভায় পরিবহন প্রশাসক ও ছাত্র উপদেষ্টা উপস্থিত না থাকা একদম বেমানান। এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তবে আলোচনায় পরিবহন অফিসের পক্ষ থেকে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সহকারী রেজিষ্টার জামাল হোসেন। এসময় তিনি বলেন, ‘আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বাসে রুট প্লান দেয়া হবে। এছাড়া আগামী জুলাই মাসের পর আর কোন অদক্ষ চালক ও ফিটনেস বিহীন গাড়ি থাকবে না। বাকি সমস্যা গুলোর বিষয়ে আমরা পরিবহন প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের পথ বের করবো।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের সুপার ভাইজার আবুল খায়ের উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শাখা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি আব্দুর রউফ, ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি নুরুন্নবী সবুজ, সাধারণ সম্পাদক জিকে সাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পিবিএ/আহসান নাঈম/বিএইচ