মনির হোসেন মাহিন, রাবি: গত ১৩ জানুয়ারি পর্নোগ্রাফি মামলায় কারাগারে যান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের উচ্চমান সহকারী সুমনউজ্জামান সুমন। বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বরখাস্তের বিধান থাকলেও এখনো বরখাস্ত হননি এ কর্মচারি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চমান সহকারী পদে কর্মরত সুমন পুঠিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। সুমনের বাবা বদিউজ্জামান বদি বর্তমানে পুঠিয়া বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিরা জানান, রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই বরখাস্ত হচ্ছেন না সুমন; গ্রেপ্তারকৃত আসামীর চাকরিতে বহাল থাকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
সামাজিক মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে গত বছর সুমনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের জামিন নেন সুমন। ১৩ জানুয়ারি এই যুবলীগ নেতা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নিন্ম আদালতে আত্মসমাপর্ণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বরখাস্তের বিধান রয়েছে। আমাদের দপ্তর থানা ও কোর্টে যোগাযোগ করে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।আমরা সাতদিনের মধ্যে কর্মস্থলে যোগদান করতে অভিযুক্তকে নির্দেশ দিয়েছিলাম। যেহেতু সে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হয়েছে সেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিবে।”