পিবিএ ডেস্কঃ আমাদের সামনে নিত্য নতুন প্রযুক্তি পণ্যের হাতছানি। বলাই বাহুল্য, এসবের সুফল ও কুফল দুটিই আছে। নিত্য নতুন কম্পিউটার ডিভাইস ও স্মার্টফোন এখন তরুণদের হাতে হাতে। ফলে, একদিকে যেমন তথ্যের প্রবাহ জোরালো হচ্ছে, মানুষের জানার সুযোগ বাড়ছে তেমনি পর্নো সাইটের মতো কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত দিকেও ঝুঁকছে কিশোর-কিশোরীরা। কেউ কেউ সরাসরি অংশ নিচ্ছে ‘চাইল্ড পর্নোগ্রাফিতে’ও। এ নিয়ে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়। পড়ারই কথা, কারণ নিছক আগ্রহ বা কৌতূহল ছাপিয়ে পর্নোগ্রাফি অনেক সময়ই নেশার পর্যায়ে চলে যায়।
পর্নোগ্রাফির নেশা থেকে সন্তানকে দূরে রাখার জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন মনোবিদরাঃ
বন্ধুত্বের কৌশলে সন্তানের মোবাইল ও ল্যাপটপে নজর রাখুন। এমনভাবে কাজটি করতে হবে যেন আপনার সন্তান মনে না করে আপনি তাকে সন্দেহ করছেন। সেক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে।
সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখুন, অভিভাবকদের মধ্যে অন্তত কেউ একজন এতটাই সহজ হয়ে মিশুন, যেন বাইরে থেকে কিছু শুনে এলে বা বন্ধুদের থেকে কিছু জানলে তা সে জানাতে পারে আপনাদের।
পর্নোগ্রাফি কী, এই নেশা কেন ক্ষতি করতে পারে, কেনই বা পর্নোগ্রাফিতে শিশুদের অংশ নেওয়া সারা বিশ্বে নিষিদ্ধ— এসব কথা বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনোর পর থেকেই গল্পের ছলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহারের সময়ও যেন খুব একটা গোপনীয়তা তারা অবলম্বন না করে তেমন পরিবেশ তৈরি করুন। তাদের সাথে কোয়ালিটি টাইম কাটান।
সন্তানের সঙ্গী, বন্ধু ও মেলামেশার পরিসরের সকলকেই কমবেশি চিনে রাখুন।
সন্তানের মুখে হঠাৎই কোনও খারাপ শব্দ শুনলে সেটি সে কোথা থেকে শিখলো তা জানতে চান, শাসন নয়, বন্ধুত্বই এই কৌশলের অন্যতম চাবিকাঠি।
নিজেরাও সন্তানের সামনে পর্ন ছবি বা ভিডিও নিয়ে আগ্রহ দেখানো বা আলোচনার বিষয় থেকে দূরে থাকুন।
কোনোভাবে সন্তান এ নেশার কবলে পড়েছে বুঝতে পারলে আর দেরি করবেন না। দ্রুত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
যৌনতার প্রতি মানুষের আগ্রহ অত্যন্ত স্বাভাবিক। বিশেষ করে বয়ঃস্বন্ধিকালে। সেটি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু পর্নাসক্তি আপনার সন্তানের স্বাভাবিক বিকাশের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অন্তরায় সৃষ্টি করতে পারে। পর্নাসক্তির কুফল সম্পর্কে সন্তানকে বোঝাতে হবে। নারী-পুরুষের পারস্পরিক মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্কের গুরুত্ব তাকে বোঝান। এবং নিজেও সন্তানের সামনে তেমন আচরণ করুন।
পিবিএ/এমআর