পিবিএ, ঝিনাইদহ : ২৫ কোটি টাকা পাবে কৃষকেরা। আখ বিক্রির ওই টাকা না পেয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সাড়ে ৫ হাজার কৃষক এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। প্রতিদিনই তারা চিনিকলে গিয়ে কর্মকর্তাদের টেবিলে টেবিলে ধর্ণা দিচ্ছেন। তবুও মিলছেনা টাকা। মিলের নিকট আখ বিক্রির পাওনা ২৫ কোটি টাকা পেতে জনপ্রতিনিধি, সিবিএ নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন কৃষকরা। তবে চিনিকল কর্তৃপক্ষ বলছে, কৃষকের নিকট থেকে বাকিতে কেনা আখের উৎপাদিত চিনি বিক্রি না হওয়ায় ওই টাকা পরিশোধ করতে পারছেনা। ফলে সময়মত টাকা না পেয়ে চিনিকলের আওতাধীন আখচাষীদের দিন কাটছে কষ্টের মধ্যে। সর্বশেষ গত সোমবার ওই টাকা পরিশোধের দাবীতে আখচাষীরা কল্যান সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবরও স্মারকলিপি পেশ করেছেন। কিন্তু তাতেও কোন ফল আসেনি। ফলে চলতি রোপন মৌসুমের রোপনকৃত আখের পরিচর্ষা ও কৃষকের ইরি আবাদের খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আখচাষী কল্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মন্টু জানান, মোবারকগঞ্জ চিনিকলের নিকট চলতি ২০১৮- ২০১৯ মাড়াই মৌসুমে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার আখচাষীর বিক্রয়কৃত আখের মূল্য বাবদ প্রায় ২৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। গত জানুয়ারী মাস থেকে কৃষকরা কোন টাকা পাচ্ছে না। বর্তমানে টাকা না পেয়ে আখচাষী পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা মিল কর্তৃপক্ষের নিকট দ্রুত এ টাকা পরিশোধের দাবি জানান। কৃষক নেতারা আরো জানান, এখন ইরি মৌসুম চলছে। সময়মত ওই টাকা না পেলে ইরি আবাদও ব্যাহত হতে পারে। এছাড়াও তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান চিনি শিল্পের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অদক্ষতার কারনে মিলটি অর্থ সংকটে পড়ে দৈন্য দশা চলছে। তাই তারা ওই অদক্ষ চেয়ারম্যানেরও অপসারনের দাবী জানান।
মিলের নিকট কৃষকদের বকেয়া পাওনা টাকার সত্যতা স্বীকার করে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ইউসুপ আলী শিকদার বলেন, মিলটি বর্তমানে অর্থ সংকটে পড়ায় আখচাষীদের টাকা পরিশোধ করতে পারছে না। কৃষকের নিকট থেকে কেনা আখের উৎপাদিত চিনি বিক্রি করতে না পারায় এ সংকট চলছে। মিলটি লোনের টাকার জন্য হেড অফিসে যোগাযোগ করেছে। খুব শীঘ্রই কৃষকদের পাওনা টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
পিবিএ/এজেড/জিজি