আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি আবার আন্দোলনের খেলা শুরু করেছে। শান্তিপূর্ণভাবে যদি কর্মসূচি পালন করে, গণতান্ত্রিকভাবে যদি আন্দোলন করে কোনো আপত্তি নেই। তবে আন্দোলনের নামে যদি নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে সরকার আছে, আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী আছে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর রাজনৈতিকভাবেও আওয়ামী লীগ জবাব দেবে।
শনিবার যুবলীগের শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন মাহবুব উল আলম হানিফ। বিএনপির নৈরাজ্য ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশটির আয়োজন করা হয়।
হানিফ বলেন, বিএনপি নামক এই সন্ত্রাসী দলটি সৃষ্টি করেছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এই বিএনপি আজ আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছে। আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। খালেদা জিয়ার যখন বিচার চলছিল তখন বিএনপির নেতারা বলেছিল তাদের নেত্রী গ্রেফতার হলে দেশে রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে, সরকার থাকবে না। খালেদা জিয়া গ্রেফতার হয়েছেন, জেলও খাটছেন। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায় বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর দেশে কোনো রক্তগঙ্গা বয়ে যায়নি, আন্দোলনও হয়নি।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেফতার হওয়ার পর সেখানে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। কই, খালেদা জিয়ার জন্য তো কেউ রাস্তায় নামেনি। অতীতে খালেদা জিয়ার সরকারের দুনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সরকারের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল যুবলীগ। সেই যুবলীগ থাকতে, আওয়ামী লীগ থাকতে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। আমি যুব লীগের নেতাকর্মীদের বলতে চাই, অতীতে যেভাবে নৈরাজ্য দমনে যুবলীগ ভূমিকা রেখেছে আগামীতেও সেই ভূমিকা রাখবে। যুবলীগের কাছে এটা প্রত্যাশা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুল ইসলাম। বক্তব্য দেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ, জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বাদশা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, উত্তরের জাকির হোসেন বাবলু, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।