পাকুন্দিয়ায় মামলার জালে কালভার্ট নির্মাণ

পিবিএ, কিশোরগঞ্জ: দীর্ঘদিন ধরে মামলার জালে আটকে আছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীয়া গ্রামে অবস্থিত গ্রামীণ সড়কের একটি কালভার্ট নির্মাণ কাজ। কালভার্টটি নির্মাণ না হওয়ায় ওই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঘটছে প্রায়ই দুর্ঘটনা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬অর্থ বছরে গ্রামীণ রাস্তায় কম-বেশি ১৫মিটার সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় পাকুন্দিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রামীণ সড়কে ১৫টি কালভার্ট নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এসব কাজ শেষ করতে সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত। ১৫টি কালভার্টের মধ্যে পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের কালভার্টটি নির্মাণের কার্য্যাদেশ পেয়েছিল মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজ নামে পাশ্ববর্তী কটিয়াদী উপজেলার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

এতে পাকুন্দিয়া উপজেলার চুমকি এন্টারপ্রাাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই মামুন এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন পাকুন্দিয়া উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা মো.কবির উদ্দিনের কাছে। অভিযোগ অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.কবির উদ্দিন মামুন এন্টারপ্রাইজের কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। এতে দেখতে পান মামুন এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মো.মাজহারুল হক মিন্টুর নামের মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে। কাগজপত্রের এক জায়গায় মাজহারুল হক আবার অন্য জায়গায় শুধু মিন্টু লেখা রয়েছে। নামের মধ্যে এই অসঙ্গতি থাকায় মামুন এন্টারপ্রাইজকে ওই কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে কালভার্টটি নির্মাণের কাজটি চুমকি এন্টারপ্রাইজকে দেওয়া হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৭সালের ১৬আগষ্টে কিশোরগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি রিট পিটিশন করেন মামুন এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মো.মাজহারুল হক মিন্টু। মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় কালভার্টটির নির্মাণ কাজ এখনো আটকে আছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টটির মাঝ বরাবর ভেঙে গিয়ে গর্ত হয়ে পড়েছে। অথচ ওই গর্তে কোন সতর্কীকরণ সাইনবোর্ডও নেই। পথচারীরা আতঙ্ক নিয়ে কালভার্টের উপর দিয়ে চলাচল করছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.রফিকুল ইসলাম রাকিব বলেন, ১৫টি কালভার্টের মধ্যে এই কালভার্টটি ব্যতিত সকল কালভার্টের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মামলাজনিত কারণে ওই কালভার্টটির নির্মাণ কাজ আটকে আছে। চলতি বছরের জুন মাসের আগে যদি মামলাটি নিষ্পত্তি না হয় তাহলে কালভার্ট নির্মাণ কাজ সম্ভব হবে না। তবে তিনি জানান, মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পর নিষ্পত্তির সকল কাগজপত্র দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর মহাখালীতে পাঠাতে হবে। কেন্দ্রীয় অফিস যে সিদ্ধান্ত নেয় তাই কার্যকরী হবে।

পিবিএ/এসএইচ/হক

আরও পড়ুন...