পাটুরিয়াঘাটে রাজধানীমুখী হাজার হাজার মানুষের ভিড়


পিবিএ, মানিকগঞ্জ : দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মস্থলমুখী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে বহু মানুষ। সারাদেশে লকডাউন থাকলেও এসব মানুষের মধ্যে বেশীরভাগই গার্মেন্টস কর্মী। ৫ এপ্রিল কারখানা খোলা থাকার কথা থাকায় তারা পেটের তাগিদে মৃতু্য ঝুকি মাথায় ঘর ছেড়েছেন। ৪ তারিখ শনিবার পাটুরিয়া ঘাটে হাজারো মানুষের ভির জমে।

গণ পরিবহন বন্ধ থাকলেও শত শত মানুষ ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাসে চড়ে রওয়ানা হচ্ছে। কেউ কেউ পায়ে হেঁটেও রওয়ানা হচ্ছেন। বহু মানুষ যানবাহনের অপেক্ষায় পাটুরিয়াঘাট, আরিচা ও উথলী বাসষ্ট্যান্ডে অবস্থান করছে। সকাল থেকে শুরু করে দুপুর একটা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ এসব স্থানে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। প্রশাসন সড়কে চেক পোস্ট বসিয়েও থামাতে পারছে না জন¯্রােত।
জেলা প্রশাসক এস, এম ফেরদৌস বলেন, সকাল থেকেই দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের জেলা থেকে নদী পার হয়ে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে আসছে মানুষ। এদের বেশীরভাগই বিভিন্ন গার্মেন্টসে কাজ করে। রবিবার গার্মেন্টস খোলা থাকায় তারা জীবিকার তাগিদেই কর্মস্থলে যাচ্ছে। প্রশাসনের কোন হস্তুক্ষেপই তারা মানছে না। দ্রæত ঘাট এলাকাসহ মহাসড়কের আশপাশ ত্যাগ করে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ঢাকাগামী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার গার্মেন্টস খোলা রয়েছে। করোনার সর্তকতায় সরকার সাধারন ছুটি ঘোষনা করা হলেও গার্মেন্টস বন্ধ রাখা হয়নি। তাদের গত মাসের বেতনও দেয়া হয়নি। রবিবার কাজে যোগ না দিলে বেতন পাবেন না। বাধ্য হয়ে জীবিকার তাগিদে তারা কর্মস্তলে ছুটছেন। করোনার সংক্রমন ঘটতে পারে জেনেও তারা নিরুপায় হয়ে কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহ আগে, সাধারন ছুটি ঘোষনা করার পর পরই ঢাকা ছেড়ে গিয়েছিলো লক্ষ লক্ষ মানুষ । ওইসব মানুষই এখন ফিরতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকায় । কেউ কেউ আবার এম্বুলেন্সে, পন্যবাহী ট্রাকে, মিনি ট্রাকে এবং মিনিবাস গুলোতেও যাত্রীরা রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের একাধিক চেক পোস্ট থাকলেও তা মানছেন না যাত্রীরা ।

পিবিএ/মনিরুল ইসলাম মিহির/ মোআ

আরও পড়ুন...