পাট খাতকে বিশ্ববাজারে তুলে ধরতে চায় ব্যবসায়ীরা

পিবিএ ডেস্ক: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে স্বাধীনতার আগে থেকেই অর্থকরী খাত হিসেবে পরিচিত পাট শিল্প। পুরানো এ খাতকে সমৃদ্ধ করতে হলে বহুমুখী পাট পণ্য তৈরি ও গবেষণায় জোর দেয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের। গবেষকরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে ব্যবহার বৃদ্ধি ও নতুন পাট পণ্যের মাধ্যমে বিশ্ব বাজারে শেয়ার বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

আশির দশকের শুরু থেকে শিল্পের নানা পরিবর্তনে পাটের ব্যবহার কমতে থাকলেও, এক দশক আগে থেকে পাট দিয়ে বৈচিত্র্যময় পণ্য তৈরির ফলে দিন দিন চাহিদা বাড়ছে বিশ্ব দরবারে। পরিবেশবান্ধব দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে পাটের কাঁচামালের পরিবর্তে বিশ্ববাজারে বহুমুখী পাট পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে প্রায় সাড়ে তিনশ’ ধরণের পাট পণ্য তৈরি করে অনেকটাই এগিয়েছে এ খাতের বহুমুখীকরণ। তবে গবেষণা ও বাজার সৃষ্টি, অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বাড়ানো এবং ব্র্যান্ডিং করে বিশ্বে প্রচারণা বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের।

পাটপণ্য ব্যবসায়ী চাষী মামুন পিবিএকে বলেন, পাট খাতের প্রসার ঘটাতে পারে বিজেএমসি’র নেতৃত্ব, আবার সরাসরি সরকারও করতে পারে। বেসরকারি খাত যেগুলো আছে তাদেরকেও সমন্বয় করতে হবে।’

গবেষকরা বলছেন, সরকারি পাটকল লাভজনক করতে প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব। পাটকল করপোরেশনের সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবহারের পরামর্শও দেন তারা।

ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে পাটপণ্য উৎপাদন ব্যয়, বিক্রয় মূল্য থেকে যেমন কমাতে হবে তেমনি আধুনিক প্রযুক্তি ও দৃষ্টিনন্দন পণ্য তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

পিবিএ/এইচএইচ

আরও পড়ুন...