পাপিয়ার সঙ্গে হাজতে দুই যুবক, পুলিশের দাবি ‘স্পেশাল গেস্ট’

পুরান ঢাকার নিম্ন আদালতের নারী হাজতখানার ড্রেসিং রুমে আলোচিত যুব মহিলা লীগের বহিস্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে দুই যুবক গোপনে বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের নিচতলায় এ বৈঠক হয় বলে জানা গেছে। বিষয়টিকে তুচ্ছ বলে অনেকটা উড়িয়ে দেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। পরে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের ‘ম্যানেজ’ করতে যান এক পুলিশ সদস্য।

এদিন অবৈধ সম্পদের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সকালে তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় তাদের রাখা হয়।

সকাল সাড়ে ১০টার কিছু পর তাদের এজলাসে তোলা হয়। এ মামলায় সাক্ষ্য দিতে দুজন সাক্ষীও আদালতে হাজিরা দেন। তবে বিচারক অসুস্থ হওয়ায় এদিন সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। ভারপ্রাপ্ত বিচারক এএসএম রুহুল ইমরান আগামি ১৬ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। এরপর তাদের ফের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

বেলা ১টার দিকে পাপিয়া নারী হাজতখানার ড্র্রেসিং রুমে একটি বেঞ্চে বসেছিলেন। তার সামনে দুজন যুবকে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় প্রফুল্ল মনে পাপিয়া কফি পান করছিলেন এবং তাদের সঙ্গে বৈঠকে মেতে ওঠেন। গেট লক করে তাদের পাহারা দেন কয়েকজন নারী পুলিশ। আস্তে আস্তে আদালতপাড়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হন।

বিষয়টি টের পেয়ে হাজতখানার ইনচার্জ নৃপেন কুমার বিশ্বাস সেখানে প্রবেশ করেন। তিনি পাপিয়াসহ তিনজনকে সতর্ক করেন তিনি। এরপর সেখান থেকে বের হয়ে এসে হাস্যরসাত্মকভাবে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করা চেষ্টা করেন।

নৃপেন কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। তখন তার কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া এভাবে কোনো আসামির সঙ্গে বৈঠক করা যায় কি না? তখন তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। এরপর বলেন, ‘ওই দুজন আমাদের স্পেশাল গেস্ট। ’

বিষয়টি নিয়ে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পাপিয়াকে সেখান থেকে বের করে মহিলা হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তার সঙ্গে বৈঠক করা দুই যুবক বের হন।

পাপিয়ার সঙ্গে কী কথা হয়েছে, জানতে চাইলে প্রথমে কেউ কোনো উত্তর দিতে চাননি। এরপর একজন বলেন, তার নাম রাসেল। পাপিয়া তার বোন হন বলেও জানান। কেমন ভাই জানতে চাইলে, তিনি কিছু না বলে আদালতপাড়া ছেড়ে চলে যান। অপর যুবক এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি।

আরও পড়ুন...