পাবনার স্কুলছাত্র অনি হত্যা মামলা পুন:তদন্তের দাবি

oni killedপিবিএ,পাবনা: পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার দুবলিয়ার স্কুলছাত্র অনিবাবু হত্যা মামলা পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তে স্থানান্তর করে পুন:তদন্তের দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দুুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত অনিবাবুর বাবা রবিউল ইসলাম ও তার স্বজনরা এ দাবি জানান। সেইসাথে তারা আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিলন এর বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ তোলেন।

রবিউল ইসলাম জানান, আতাইকুলা থানার ওসি মনিরুজ্জামান এবং এসআই মিলন আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, সঠিকভাবে তদন্ত হবে এবং আমি ন্যায় বিচার পাবো। আমি সরল বিশ্বাসে তাদের কথা মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ যেভাবে চার্জশিট দিয়েছে তাতে তিনি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত অনেককে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
রবিউল ইসলাম আরো জানান, হত্যাকান্ডর পর পুলিশই নিহত অনিবাবুর মোবাইল ও ঘাতক জয়ের ফোনের কললিস্ট ধরে জয়সহ সাগর নামের একজন ও ভ্যানওয়ালা রুবেল প্রামাণিক সহ কয়েকজনকে শনাক্ত করে। কিন্তু ১৪ বছর বয়সী জয় ছাড়া বেশি বয়সী কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। ভ্যানওয়ালা রুবেল ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকা সত্বেও তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাকে মামলার আসামিও করা হয়নি। ২০ বছর বয়সি সাগরকে আজ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। সাগর গ্রেফতার হলে এ হত্যাকান্ডের সাথে আর কারা জড়িত ছিল তা জানা যেতো ।

তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শুধু ১৪ বছর বয়সী জয়কে আসামি দেখিয়ে চার্জশীট দিয়েছে। ১৪ বছর বয়সী একটি ছেলে জয়ের পক্ষে তার সমবয়সী অনিবাবুকে একাই হত্যা করা সম্ভব হওয়ার কথা নয়। এ হত্যাকান্ডের সাথে জয়ের পরিবারের বড় সদস্যরাও কোনভাবে জড়িত বলে তিনি দাবি করেন। প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য তিনি এ মামলা অবিলম্বে পিবিআইতে স্থানান্তরের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, তারা সঠিকভাবে তদন্ত করেছেন। যারা দোষি তাদের নামে চার্জশীট দেয়া হয়েছে। কম-বেশ করা হয়নি। তবে বাদীপক্ষ চাইলে আদালতের কাছে পুন:তদন্তের আবেদন জানাতেই পারেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আশিক মাহমুদ ওরফে অনি বাবু (১৪) বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন। এ ঘটনার চারদিন পর ৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার দুবলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির অদুরে একটি আমবাগানের মাটির নীচ থেকে অনির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পিবিএ/ইএইচকে

আরও পড়ুন...