পিবিএ,পাবনা: পাবনায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে হত্যাসহ অন্তত ৮টি মামলার পলাতক আসামী তানজীব শেখ নিহতের ঘটনায় নোংরা রাজনীতি শুরু হয়েছে। স্থানীয় একটি সুবিধাবাধি চক্র পুলিশ ও সরকারের ভাবমুর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করতে নিহত তানজীবকে একজন আওয়ামীলীগের পরিবারের সদস্য বলে দাবী করছেন। সরেজমিন জানা যায়, পাবনা শহরের রামচন্দ্রপুরের এলাকার শফিকুল ইসলাম ওরফে বাবু শেখের একমাত্র ছেলে তানজীব শেখ অনেক আগে থেকেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। তার সন্ত্রাসের মাত্র এতই ছিল যে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পেতনা।
স্থানীয়রা জানান, দোগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হাসান ঐ এলাকায় মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া পদ্মা নদী থেকে বালি উত্তোলন, দোগাছির বাধের রাস্তা দিয়ে নাজিরগঞ্জ, বেড়া সুজানগরের বড় বড় ড্রাম ট্রাক চলাচলে আলী হাসান ও তার সহযোগিতা প্রতিদিন প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করতো। তানজীব শেখ ছিল আলী হাসানের ডান হাত। দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর এলাকার দায়িত্ব ছিল তানজীব শেখের উপর।
সুত্র জানায়, ২০১০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পাবনা শহরের রবিউল মার্কেট এলাকায় পলাশ নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে তানজিব শেখ। ঐ সময় নিহত পলাশের তিন মাসের একটি সন্তান ছিল। এই মামলায় তানজীব শেখকে প্রধান করে চলতি বছরের ৩০ জুন পুলিশ চার্জশীট দাখিল করে। ঐ মামলাটি এখন আদালতে বিচারাধীন। এ ছাড়া ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি তানজীব এক যুবকে পেটে গুলি করে। গুলি বের করলে ঐ ছেলে মারা যাবে এই আশংকায় পেটের মধ্যেই গুলি রাখা হয়েছে। এ ঘটনায়ও পুলিশ তার বিরুদ্ধে চার্জশীট দিয়েছে। চলতি বছরের ৯ জুন দক্ষিণ রামচন্দ্রপুরের আওয়ামীলীগ অফিসে আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভাংচুর এবং জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। এ ছাড়া এদাধিক চাঁদাবাজী এবং হত্যা প্রচেষ্টার আসামী তানজীব।
পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, “পুলিশের একটি টহল দল গত বুধবার ভোর রাতের দিকে পাবনা সদর উপজেলার শিবরামপুর সুইচ গেট এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে তানজিল শেখ (৩০) নামের এক সন্ত্রাসী নিহত হয়”। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি পিস্তল ও ১টি রিভলবার উদ্ধার করেছে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলেও পুলিশ সুপার জানান।
পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম আরও জানান, এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করা ঠিক নয়। এটি দু:খজনক।
পিবিএ/মো. নবী কামাল/এসডি