পাস হল কপিরাইট আইন

europian-parlament-PBA

পিবিএ ডেস্ক: বহুল আলোচিত কপিরাইট আইন ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাস হল। সদস্যরাষ্ট্রগুলো আইনটির অনুমোদন দিলে কোনো সংবাদমাধ্যমের খবরের লিঙ্ক ব্যবহারের জন্য সার্চ ইঞ্জিন ও অন্য গণমাধ্যমের খবর প্রকাশকারী ওয়েবসাইটকে (নিউজ অ্যাগ্রিগেটর) অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

স্বত্বাধিকার ছাড়া অন্যের কোনো কিছু প্রকাশ করলে এর দায় নিতে হবে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে। গুগল, ইউটিউবের মতো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর আপত্তি আছে এ আইন নিয়ে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে আইনটির খসড়ার ওপর মঙ্গলবার ভোটাভুটি হয়। পক্ষে ভোট দেন পার্লামেন্টের ৩৪৮ সদস্য (এমইপি)। বিপক্ষে ভোট দেন ২৭৪ জন। ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকেন ৩৬ জন। এখন পার্লামেন্টের এই সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যরাষ্ট্রগুলোর কাছে পাঠানো হবে অনুমোদনের জন্য। সব সদস্যরাষ্ট্র অনুমোদন দিলে এটি কার্যকরে তাদের হাতে সময় থাকবে দু’বছর।

সংবাদ প্রকাশক ও গণমাধ্যম ব্যবসায়ীরা আইনটির পক্ষে মত দিলেও সমালোচকরা বলছেন, এই আইন কার্যকর হলে ইন্টারনেটের প্রকৃতিই বদলে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষ করে সার্চ ইঞ্জিন গুগলের কর্তৃপক্ষ এই আইনের ব্যাপক বিরোধিতা করে আসছে। নিজের প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন সংশ্লিষ্ট আধেয় (কনটেন্ট) প্রকাশের সুযোগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বিপুল পরিমাণ মুনাফা করছে।

আর অবাধ ইন্টারনেটের সমর্থকরাও বলছেন, এই আইনের ফলে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় নজিরবিহীন বিধিনিষেধ আরোপিত হবে। গত শনিবার জার্মানিতে আইনটির বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা স্লোগান দেন- ‘ইন্টারনেটকে রক্ষা কর’। অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড ও পর্তুগালেও বিক্ষোভ হয়েছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ভোটের পর ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্র–স আনসিপ বলেন, ‘আমি জানি ব্যবহারকারীরা কী করতে পারবেন আর কী পারবেন না- তা নিয়ে ব্যাপক ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমাদের মুক্ত মত, শিক্ষা ও সৃজনশীলতার পরিষ্কার নিশ্চয়তা রয়েছে।’ তবে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে জার্মানির পাইরেট পার্টির সদস্য জুলিয়া রেডা বলেন, ভোটাভুটির এই দিনটি ‘ইন্টারনেট স্বাধীনতার জন্য কালো দিন’। গুগলের এক মুখপাত্র বলেছেন, এই আইন ইউরোপের সৃজনশীলতা ও ডিজিটাল অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করবে।

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...