পাহাড়ে আলোচনার শীর্ষে ছয় পদ প্রত্যাশী

পিবিএ,খাগড়াছড়ি: কে হচ্ছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সংরক্ষিত মহিলে আসনের এমপি। এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই।

পার্বত্য চট্টগ্রাম (খাগড়াছড়ি,রাঙ্গামাটি,বান্দরবন) মহিলা সংরক্ষিত আসন নিয়ে
খাগড়াছড়িতে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতেপরিনত হয়েছে মহিলা আওয়ামীলীগের ছয় পদ প্রত্যাশী।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে নতুন সরকার গঠনের পর পাহাড়ে আলোচনার
শীর্ষে কে হচ্ছেন নারী এমপি।

সারাদেশে সংরক্ষিত আসনের জন্য ৫০ ভাগের একভাগ রয়েছে তিন পার্বত্য জেলায়।
তিন জেলা নিয়ে পার্বত্যাঞ্চলের সংরক্ষিত নারী আসন। যেহেতু দলীয় বাছাই কমিটি
প্রধানমন্ত্রীর নেক নজরের উপর নির্ভরশীল, তাই এই আসনে এবার কে হচ্ছেন নারি সংসদ সদস্য তা নিয়ে শেষ নেই জল্পনা-কল্পনার।

ইতিমধ্যে খাগড়াছড়ি জেলাজুড়ে সংরক্ষিত আসনে এমপি প্রার্থী হিসেবে-
খাগড়াছড়ি জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ক্রইসাউ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় মহিলা
আওয়ামীলীগের সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলা মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদিকা শাহিনা
আক্তার, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের সদস্য বাসন্তি চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা মহিলা
আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নিগার সুলতানা, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের মহিলা
বিষয়ক সম্পাদিকা শতরূপা চাকমা ও রাঙামাটির আওয়ামী লীগের জেলা মহিলা
সম্পাদিকা ফিরোজা বেগম চিনু আলোচনায় রয়েছে।
প্রার্থীরা নৌকার প্রতিক পেয়ে বিজয়ী হলে পার্বত্য জেলায় নারী উন্নয়ন,শিক্ষার
প্রসার, আত্ম সামাজিক উন্নয়ন থেকে শুরু সকল ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে পাহাড়ে
আওয়ামীলীগের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। স্থানীয়দের দাবী,
আওয়ামীলীগের গত বার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে রাঙ্গামাটির ফিরোজা বেগম চিনুকে
সংরক্ষিত আসনে এমপি করা হয়েছে। আর এবার ৩ পার্বত্য জেলায় উপজাতীয় এমপির
পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিত্ব করতে খাগড়াছড়ি থেকে দেওয়া হোক মহিলা সংরক্ষিত
আসনের এমপি।
২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বান্দরবান জেলা থেকে
ম্যা ম্যা চিং মার্মাকে সংরক্ষিত এমপি নির্বাচন করা হয়। সে অনুযায়ী পার্বত্যবাসীর
প্রত্যাশা এবার আওয়ামী লীগ পাহাড়ের নারী নেত্রীদের মূল্যায়ন করবে। দলীয় নেতা কর্মীদের
এমন প্রত্যাশায় তিন পার্বত্য জেলায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ০৭ জন নারী নেত্রী এই পদের
প্রত্যাশী বলে জানা গেছে। তার মধ্যে ৬ জন খাগড়াছড়ির এবং অপর একজন রাঙ্গামাটির
সংরক্ষিত আসনের এমপি ফিরোজা বেগম চিনু।

পিবিএ/এএম/ইএইচকে

আরও পড়ুন...