পিবিএ ডেস্ক: অতিরিক্ত ঘাম কোনো জটিল সমস্যা নয়, সাধারণ একটি সমস্যা। এই অতিরিক্ত ঘাম সাধারণত হাতের তালু, পায়ের পাতা ও বগল থেকে হয়ে থাকে। কারও কারও শীতকালে, কারও শুধু পরীক্ষার হলে, কখনো অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার সময় হাত-পা ঘামে। অতিরিক্ত ঘাম থেকে যে দুর্গন্ধ তৈরি হয় তাতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যেতে পারেন আপনি। তবে আপনি একটু সচেতন হলেই পা ঘামা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
হাত-পা ঘামার কারণ
সাধারণত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা থেকে আপনার হাত-পা ঘামতে পারে। এ ছাড়া শরীরের ভেতরের ভারসাম্যহীনতাও আপনাকে ঘর্মাক্ত করে তোলবে। বংশগতভাবে এ রোগ থাকাও হাত-পা ঘামার কারণ।
কেনো হয় পায়ের দুর্গন্ধপায়ের ঘাম পায়ের দুর্গন্ধের প্রধান কারণ। ঘেমে যাওয়ার ফলে পায়ে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। একসময় এই ব্যাকটেরিয়া পায়ে আক্রমণ করে। দীর্ঘক্ষণ পা এই অবস্থায় থাকলে পায়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। জুতা- মোজা নিয়মিত না পরিষ্কার করলেও দুর্গন্ধ তৈরি হতে পারে।
রোধ করুন সহজেই-পা সবসময় পরিষ্কার রাখুন।-বাইরে থেকে এসেই পা ধুয়ে ফেলুন। এক্ষেত্রে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। পা ধোয়ার পর শুকনো তোয়ালে দিয়ে পা মুছে ফেলুন।-মোজা প্রতিদিন ধুয়ে দিন। ধোয়ার পর ভালো মতো শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করুন।-নিয়মিত জুতা পরিষ্কার রাখুন।-চাইলে জুতায় মাঝে মধ্যে পাউডার দিয়ে রাখতে পারেন।-মাঝে মধ্যে জুতা রোদে দিয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।-সম্ভব হলে কয়েক জোড়া জুতা এবং মোজা ব্যবহার করুন।-সুতি মোজা ব্যবহার করলে ভালো কারণ সুতি মোজা ঘাম শুষে নেয়।-বাজারে ঘাম শুষে নেয় এমন জুতাও পাওয়া যায়। চাইলে এমন জুতা ব্যবহার করুন।
চিকিৎসাসঠিক কারণ বের না করে চিকিৎসা করা উচিত নয়। আগে অনুসন্ধান বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কারণ খুঁজতে হবে। তারপর সঠিক চিকিৎসা নিলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সাধারণত বিভিন্নভাবে হাত-পা ঘামা কমানো যেতে পারে। অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত একধরনের বিশেষ লোশন হাত-পায়ে ব্যবহার করলে হাত-পা ঘামা কমে যায়। বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেকে নিলে হাত-পা ঘামা কমে যাবে। পরবর্তী সময়ে এটি দেখা দিলে আবার একইভাবে সেই বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেকে নিতে হবে। এসব পদ্ধতি ছাড়াও একটি বিশেষ ধরনের নার্ভের অস্ত্রোপচার করেও হাত-পা ঘামা কমানো যায়। তবে হাত-পায়ের ঘাম রোধে যা-ই করা হোক না কেন, এর আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
পিবিএ/এমএস