পিবিএ ডেস্ক: হজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ । হজে আর্থিক ও কায়িক শ্রমের সমন্বয় রয়েছে, অন্য কোনো ইবাদতে যা একসঙ্গে পাওয়া না। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩০ থেকে ৪০ লাখ মানুষ পবিত্র হজ পালনে সৌদি গমন করেন। হজের সওয়াব সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করে এবং অশ্লীল ও গুনাহর কাজ থেকে বেঁচে থাকে, সে নবজাতক শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়। আর মকবুল হজের পুরস্কার জান্নাত ছাড়া অন্য কিছুই নয়।’ (বুখারি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২০৬) মূলত যাদের হজে অথবা ওমরায় যাওয়ার সামর্থ্য ও সক্ষমতা নেই, তাদের জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে হজ-ওমরাহর সওয়াব অর্জনের চমৎকার সুযোগ রয়েছে। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সেসব রকমারি পথ বা আমল বাতলিয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন হাদিসে।
সেসব হাদিসের কোনোটা সহিহ বোখারি, সহিহ মুসলিম, সুনানে তিরমিজি কিংবা অন্য কোনো হাদিসগ্রন্থে অকাট্য সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। আবার কোনোটা ওই মানের না হলেও জয়িফ কিংবা মওজু নয়, পারিভাষিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেগুলোকে হাসান বলা হয়। অতএব আমরা যদি বিশ্বাস এবং সওয়াবের দৃঢ় আশ্বাস নিয়ে এসব আমল করতে পারি, তবে ইনশাআল্লাহ অনেক বিরাট প্রতিদানের অধিকারী হতে পারবো।
তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো, মাতা-পিতার সেবা এবং তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, জনৈক ব্যক্তি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বলল, ‘আমি জিহাদে অংশগ্রহণ করতে চাই, কিন্তু আমার সেই সামর্থ্য ও সক্ষমতা নেই।’
নবীজি প্রশ্ন করলেন, ‘তোমার মাতা-পিতার কেউ কি জীবিত আছেন?’ লোকটি বলল, আমার মা জীবিত। প্রত্যুত্তরে নবীজি বললেন, তাহলে মায়ের সেবা করে আল্লাহর নিকট জিহাদে যেতে না পারার অপারগতা বা ওজর পেশ কর। এভাবে যদি করতে পার এবং তোমার মা সন্তুষ্ট থাকেন তবে তুমি হজ্জ, ওমরাহ এবং জিহাদের সওয়াব পেয়ে যাবে। সুতরাং আল্লাহকে ভয় কর এবং মায়ের সেবা কর।’ (মাজমাউয যাওয়াইদ: ১৩৩৯৯)।
পিবিএ/বাখ