পিবিএ,বিশ্ব ডেস্ক: মিসরের পিরামিড দেখার শখ অনেকেরই আছে। দিনে বা রাতে পিরামিডের রূপ দেখে অনেকেই বাকরুদ্ধ হয়ে যান। গিয়েছিলেন এক দম্পতিও৷ কিন্তু বাকরুদ্ধ হওয়ার পর তারা যা করলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে মিসরে। কারণ ওই দম্পতি পিরামিডের ওপর নগ্ন ছবি তোলার পর যৌনতায় মিলিত হন। আর এক আলোকচিত্রী ক্যামেরায় ওই দৃশ্য ধারণ করে ছেড়ে দেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এর জন্য তিনি সমালোচনায়ও পড়েন।
সিএনএন ও ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার রাতে এক দম্পতি মিসরের রাজধানী কায়রোর গিজায় অবস্থিত খুফু পিরামিডের ওপরে ওঠেন৷ রাতের অন্ধকারে পিরামিডের রূপে মুগ্ধ তাঁরা দুজন। সেখানে তখন কেউ ছিলেন না৷ নিজেরাই নিজেদের ছবি তুলছিলেন আর ভিডিও করছিলেন। কিন্তু হঠাৎই পোশাক খুলে নগ্ন হয়ে যান নারী। স্ত্রীকে এই অবস্থায় দেখেও ভিডিও করা বন্ধ করেননি স্বামী৷ ওই অবস্থাতেই কিছুক্ষণ ভিডিও করেন। নিজেদের আর সামলাতে পারেননি তাঁরা৷ পিরামিডের ওপরই অবাধ যৌনতায় মেতে ওঠেন৷ সেই ঘটনার ছবি তোলেন এবং ভিডিও করেন ডেনমার্কের আলোকচিত্রী আন্দ্রিয়েজ হেভিড।
ঘটনার পরে তিন মিনিটের ওই ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করেন আন্দ্রিয়েজ হেভিড। ভিডিও এবং ছবি প্রকাশ্যে আসার পরই সমালোচনার মুখে পড়েন ওই দম্পতি৷ মিসরে পিরামিডের ওপর ওঠা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তার ওপর আবার নগ্ন হয়ে অবাধ যৌনতায় মেতে ওঠা৷ সব মিলিয়ে এই ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর পিরামিডের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ নড়েচড়ে বসেছে দেশটির প্রশাসন৷ কীভাবে ওই দুজন পিরামিডের ওপর উঠলেন, নগ্ন অবস্থায় ছবি তুললেন, ভিডিও করলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন মিসরের কর্মকর্তারা। তবে ওই দম্পতির পরিচয় গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে পারেনি।
ভিডিওটি নিয়ে নেটিজেনদের মধ্য আলোচনা-সমালোচনা চললেও অনেকেই ভিডিওর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন৷ মিসরের প্রত্নতত্ত্ববিষয়ক মন্ত্রী খালেদা আল-আনাই এ ঘটনাকে নৈতিকতাবিরোধী কাজ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি পিবিএকে বলেন, কীভাবে এ ঘটনা ঘটল, অ্যাটর্নি জেনারেল তা তদন্ত করে দেখছেন।
গিজা এলাকার পিরামিডের মহাপরিচালক আশরাফ মোহি মিসরের আহরাম অনলাইনকে বলেন, ওই এলাকা কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য অবস্থিত। তা ছাড়া ওই এলাকা আলোকিত থাকে। ভিডিওটি ভুয়া। তিনি বলেন, পিরামিড হলো বিশ্বের অন্যতম ঐতিহাসিক মাইলফলক। বিশ্বের বিভিন্ন এলাকার লোক এখানে আসেন। কেউ কেউ পিরামিডের সৌন্দর্য দেখে তাদের ভালোবাসা একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করে থাকেন।
আলোকচিত্রী আন্দ্রিয়েজ হেভিড মাঝেমধ্যেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেন। এর মধ্যে কিছু নগ্ন ছবিও থাকে। তিনি একটি ডেনিশ ট্যাবলয়েডকে বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই আমার পিরামিডের ওপর ওঠার ইচ্ছা ছিল। ওই দম্পতির “নগ্ন হয়ে ছবি তোলা”র ব্যাপারটি আমাকে অভিভূত করেছে। অনেকেই হয়তো এ ঘটনায় রাগ করছেন। তবে আমি ইতিবাচক সাড়াও পেয়েছি।’
পিবিএ/এমটি/এইচএইচ