পীরগাছায় ৪০ টাকা মণ মুলা

পিবিএ, পীরগঞ্জ : এক টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মুলা। তবুও ক্রেতা পাচ্ছে না বিক্রেতারা। তাই বাধ্য হয়ে এক মণ মুলা বিক্রি করছেন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। এককেজি চালের দামে এক মণ মুলা বিক্রি করে হতাশ কৃষকরা। এ দৃশ্য রংপুরের পীরগাছা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায, এ বছর সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ২০০ হেক্টর। এর মধ্যে ৯০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এককভাবে মুলার চাষ হয়েছে প্রায় ৫৫ হেক্টরে।

আজ সোমবার এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী দেবী চৌধুরাণীর হাটসহ কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা যায়, এক মণ মুলা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে এক কেজি মোটা চাল ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা। অন্য বছরের তুলনায় এবারে মুলা উৎপাদন বেশি হলেও চাহিদা না থাকায় দাম পড়ে গেছে বলে জানান কৃষকরা। গত সপ্তাহে বাজারে ৮ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে মুলা বিক্রি হয়েছে। গত ৩ দিন থেকে মুলার দাম কমে যাওয়ায় চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছে। অনেকে মুলা বিক্রি করতে না পেরে সেগুলো গরু-ছাগলকে খাওয়াচ্ছে। আবার কেউ কেউ বাজারে মুলা নিয়ে এসে বিক্রি করতে না পেয়ে মুলা ফেলে রেখেই চলে যাচ্ছে। এদিকে মুলার দাম কমে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ না ওঠার আশঙ্কায় হতাশ হয়ে পড়েছে কৃষকরা।

মকরমপুর এলাকার চাষি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এক বিঘা জমিতে মুলা চাষ করেছি, ফলনও ভালো হয়েছে। প্রথমে দাম ভালো পেলেও বর্তমানে এক টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই মুলা চাষ করে বিপাকে পড়েছি। একজন শ্রমিককে দুই শ টাকা দিয়ে জমি থেকে মুলা তুলতে হয়। বাজারে সেই মুলা মণপ্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। যা বাজারে এক কেজি চালের দামের সমান।

সবজি বিক্রেতা আফছার আলী বলেন, কয়েক দিন আগেও মুলার দাম ভালো ছিল। বর্তমানে এক টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে মুলার চাহিদা নেই বললেই চলে। সারাদিন বিক্রি শেষে রাতে অবিক্রিত মুলা ফেলে দিতে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর সবজির ফলন ভালো হচ্ছে। একই সাথে সকল সবজি বাজারে আসায় মুলার চাহিদা কমে গেছে। তাই প্রথম দিকে দাম ভালো পেলেও এখন মুলার দাম কম পাচ্ছে চাষিরা।

পিবিএ/ টি এ/জেডআই

আরও পড়ুন...