পুলিশের এসআই’র বিরুদ্ধে নারীকে হাতকড়া পড়িয়ে লাঠিপেটার অভিযোগ

পিবিএ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জুরবানু বেগম নামে এক নারীকে হাতকড়া পড়িয়ে মাটি ফেলে এলোপাতাড়ি লাথি ও বেধড়ক লাঠিপেটা করেছেন পুলিশের এস আই মোঃ খলিল মিয়া। এ ঘটনায় আহত জুরবানু বেগম তিন দিন যাবত ভৈরবে ইউনাইটেড হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় মহিলা ওয়ার্ডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে হাসপাতালে গেলে পুলিশের নির্যাতনের শিকার জুরবানু সাংবাদিকদের জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় সরাইল থানার এস.আই খলিল মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামে পুরুষ শূন্য ঘরবাড়িতে হত্যা মামলার আসামির খোঁজে যান। এসময় পুলিশ বিভিন্ন ঘরের টিনের বেড়ায় লাঠি দিয়ে আঘাতের পর সেখানে এক ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করেন।
তখন ঘরবাড়ির নারী ও শিশুরা চিৎকার শুরু করে। দারোগা খলিল নারীদের উদ্দেশ্য করে গালি দিয়ে বলেন “শালির বেটিরা এখনো গ্রাম ছেড়ে যাসনি”।
এসময় একজনের নির্দেশে জুরবানু বেগমের হাতে ‘হাতকড়া’ পড়ায় পুলিশ সদস্য। আমি আসামি নই, মহিলা পুলিশ ছাড়া আপনারা (পুরুষ পুলিশ সদস্য) এভাবে আমাকে হেনস্তা করতে পারেননা- এমন কথা জানিয়ে পুলিশের এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই প্রথমে দারোগা খলিল লাথি মেরে জুরবানুকে মাটিতে ফেলে দেন, পরে দারোগার নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা তাকে এলোপাথাড়ি লাথি মারে ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান। একপর্যায়ে জুরবানু অজ্ঞান হয়ে পড়লে, হাতকড়া খুলে পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে চলে আসেন। পরে স্থানীয় লোকজন জুরবানুকে নিয়ে গিয়ে ভৈরব হাসপাতালে ভর্তি করেন।

বরইচারা গ্রামের বাসিন্দা ও পল্লী চিকিৎসক মনসুর আলী জানান, ওই দিন পুলিশ জুরবানু বেগমকে নির্মমভাবে পিটিয়েছে প্রকাশ্যে। এসময় পুলিশ সদস্যরা কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থীকেও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শুক্রবার বিকেলে সরাইল থানার অভিযুক্ত এস আই খলিল মিয়া সাংবাদিকদের কাছে দাবি করে বলেন, এটি তেমন কিছু না। সামান্য ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। ওই নারী ভৈরবে ইউনাইটেড হাসপাতালে আছেন, মুঠোফোনে তার কাছে এ অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আমি তাকে দেখতে যাব, চিকিৎসার খরচও দিব।

পিবিএ/এআই/হক

আরও পড়ুন...