পুলিশে করোনা আক্রান্ত বাড়ছে

 

পিবিএ, ঢাকা : করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার রোধে শুরু থেকেই পুলিশ সামনের সারিতে কাজ করছে। যে কারনে অজানা সংক্রমণ থেকে পুলিশ রেহাই পায়নি। এখন পর্যন্ত ৫৮ জন পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেছে।

তাছাড়া সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছেন এমন ৬ শতাধিক পুলিশ সদস্যকে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর এবং ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সদস্যদের পর্যাপ্ত পরিমাণ সুরক্ষা সামগ্রী না থাকায় দায়িত্বপালনের সময় ‘অসাবধানতাবশত’ সাধারণ মানুষের সংস্পর্শে এসে তাদের মধ্যে এই সংক্রমণ হচ্ছে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন। এ ছাড়া রাস্তায় জীবাণুনাশক ছিটানো, শ্রমজীবী মানুষকে সহায়তা করা, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া এবং কোয়ারেন্টিন থেকে পালানোদের খুঁজে বের করার কাজ করছেন তারা।


বেশী সংক্রমিত হবার আরও একটা কারন হচ্ছে, অধিকাংশ পুলিশ সদস্যই অবস্থান করেন জেলাগুলোর পুলিশ লাইনসে। এসব জায়গায় একটি কক্ষে ১০-১২ জন করে পুলিশ সদস্য থাকেন। এদের যেকোনো একজন থেকে অনেকের মধ্যে সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।

আরও জানা গেছে, সর্বাধিক ২৭ জন আক্রান্ত পুলিশ সদস্য ডিএমপিতে কর্মরত। তাছাড়া ১১ জন গোপালগঞ্জে, ছয়জন নারায়ণগঞ্জে, পাঁচজন গাজীপুর মহানগর পুলিশে, দুজন কিশোরগঞ্জে এবং একজন করে ময়মনসিংহ, নরসিংদী, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ, পুলিশ টিঅ্যান্ডআইএম, এপিবিএন ময়মনসিংহ, নৌ পুলিশ ইউনিট ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের সদস্য।
অপরদিকে ৬৩৩ জন পুলিশ সদস্যকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ১৪৩ জন। আর কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৮৫ জন।

দায়িত্বপালনের সময় পুলিশ সদস্যদের আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি পুলিশ কমিশনার বলেন, পুলিশের যে সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছেন তারা সবাই বাইরে দায়িত্বপালনে গিয়েছিলেন। অসাবধানতাবশত মানুষের কাছাকাছি চলে যাওয়ায় এরা সংক্রমিত হয়েছেন বলে তারা মনে করছেন। পুলিশ সদস্যদের সুরক্ষায় প্রথম থেকেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সেগুলো এখন আরও জোরদার করা হচ্ছে। সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে এমন পুলিশ সদস্যদের আলাদা করে ফেলা হচ্ছে। তাদের জন্য ডেমরার অস্থায়ী পুলিশ লাইনসে ১০০ টি বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজারবাগ মেহমানখানা এবং মিরপুর মেহমান খানায়ও কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

 

পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, পুলিশের যেসব সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের পুলিশের স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্র গুলোতে আইইডিসিআর এর নিয়ম অনুসরণ করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে। কারও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তখন আইইডিসিআর যে হাসপাতালগুলোকে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছে সেগুলোতে স্থানান্তর করা হবে।

পিবিএ/মোহাম্মদ আলম

আরও পড়ুন...