ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে ২০২৪ সালে দেশের জনগণ নতুন এক স্বাধীনতা দেখেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ বিএনপির নাম ভাঙিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের চলমান অর্জনকে নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র চলছে। ধর্ম-বর্ণ পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে নিরাপত্তা দিতে হবে। যে যেখানে বসবাস করছেন, ধর্মীয় পরিচয় যাই হোক না কেন, সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন। বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সব জনগণের পরিচয় একটি, সবাই বাংলাদেশি।
পুলিশ জনগণের শত্রু নয় উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত শেখ হাসিনা পুলিশকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বাধ্য করেছে। শেখ হাসিনা পালানোর পর একটি চক্র পুলিশের মনোবল ভাঙতে চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
বিএনপির নামে কেউ যদি অপকর্ম করতে চায় তাকেও আইনের হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, কেউ যদি নিয়ম ভঙ্গ করে তার বিরুদ্ধেও পুলিশের কাছে নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগ করুন। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। বিচারের ভার দয়া করে নিজ হাতে তুলে নেবেন না।
প্রশাসনকে সময়োপযোগী করে গড়ে তোলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, তাদের নিয়োগ বা প্রমোশনে মেধাকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিতে হবে। উন্নয়নে বৈদেশিক নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে। দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকার সমস্যা সমাধান করতে হবে। সবার জন্য সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা স্থানান্তর করার আহ্বান জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমরা দেশের তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ দেশ গড়ে তুলতে পারব।