পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক মতাদর্শ না দেখার সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন। তবে চাকরিপ্রার্থী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা বিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তা ভেরিফিকেশন রিপোর্টে প্রতিফলিত করতে হবে বলেও সুপারিশ করেছে কমিশন।
সম্প্রতি পুলিশ ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশন এসব সুপারিশ করেছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারী চাকরিপ্রার্থীদের স্থায়ী ঠিকানা অনুসন্ধানের বাধ্যবাধকতা রহিত করা যেতে পারে। চাকরিপ্রার্থীর বিভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা/শিক্ষা সনদপত্র/ট্রান্সক্রিপ্ট/মার্কশিট ইত্যাদি যাচাই-বাছাই করার দায়দায়িত্ব নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তাবে। এগুলো পুলিশ ভেরিফিকেশনের অংশ হবে না।
সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীর রাজনৈতিক মতাদর্শ যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজনীয়তা রহিত করাসহ এতদসংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সংস্কার করা যেতে পারে। তবে চাকরিপ্রার্থী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা সংক্রান্ত কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তা ভেরিফিকেশন রিপোর্টে প্রতিফলিত করতে হবে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, চাকরির জন্য সব পুলিশ ভেরিফিকেশন সর্বোচ্চ ১ (এক) মাসের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে এবং অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ ১৫ (পনেরো) দিন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ব্রিটিশ আমলে প্রণীত কিছু কিছু আইন ও প্রবিধান যুগের প্রয়োজনে সংস্কার/হালনাগাদ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কমিশন নিম্নলিখিত আইনগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তা যুগোপযোগী করার জন্য সুপারিশ করছে।
পুলিশ আইন, ১৮৬১; পুলিশকে জনবান্ধব ও জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক বাহিনী বা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য এই আইনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন/পরিমার্জন অথবা নতুন আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮; বলপ্রয়োগ ও মানবাধিকার সুরক্ষায় এ আইনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের সুপারিশ করা হলো। পি আর বি, ১৯৪৩; জনবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক পুলিশ বাহিনী গঠনে এ প্রবিধানমালায় সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পরিবর্তন বা পরিমার্জন অথবা নতুন প্রবিধানমালা প্রণয়ন করা যেতে পারে।